
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পুরোনো ছবি পোস্ট করে আবেগভরা এক আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী।
ছবিটিতে আছেন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় তারকা নাঈম, বাপ্পারাজ, অমিত হাসান, আমিন খান, সম্রাট ও একমাত্র নায়িকা প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। ছবিটি ঠিক কবে, কোথায় বা কোন উপলক্ষে তোলা, তা উল্লেখ করেননি ওমর সানী। তবে ছবিটি কবে, কোথায়, কী উপলক্ষে তোলা তা উল্লেখ করেননি ওমর সানী। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ছবিটি বেশ আগের। সঙ্গে কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ওমর সানী।
ক্যাপশনে ওমর সানী লিখলেন, ‘এই ধরনের আন্তরিকতার ফ্রেম আর কোথাও খুঁজে পাবেন না। এখন তো আরও না। সবার মধ্যেই একটা রোবট বসবাস করে। অনান্তরিকতার কেবিসে সবাই আক্রান্ত।’
পুরোনো দিনগুলোর কথা মনে করে আক্ষেপের সুরে তিনি লিখেছেন, ‘একটু হাসির জন্য, একটু মুখ দেখা দেখি জন্য আয়োজন থাকতো। এখন সেটা আর নেই। ধন্যবাদ আমার জেনারেশনকে।’
একসময় সিনেমার শুটিং সেটে, শিল্পী সমিতিতে কিংবা আড্ডার আসরে নিয়মিত দেখা মিলত এই তারকাদের। কিন্তু এখন সে দৃশ্য প্রায় বিলুপ্ত। ওমর সানীর এই পোস্ট যেন সেই হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।
ছবিটি পোস্ট করার পর থেকেই ভক্তরা কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসায়। ছটু বিশ্বাস নামে একজন লিখেছেন, ‘সানী ভাই, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী আপু, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, নাঈম, সম্রাট, আমিন খান ভাইসহ সবার জন্য অনেক ভালবাসা রইল।’
শরিফুল আলম লিখেছেন, ‘পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা ছিল ঠিকই কিন্তু সহমর্মিতাও কম ছিল না। বাপ্পারাজ থেকে আমিন খান এই সময়টাকে ঢাকার চলচ্চিত্রের সুসময় বলা যায়। তার আগেও সময় ভালো ছিল কিন্তু তারপরে আর ভালো থাকেনি। সহ-শিল্পীদের সঙ্গে সম্প্রীতি দেখা যায়নি।’
ওমর সানীর সঙ্গে একমন পোষণ করে মিজানুর রহমান লিখেছেন, ‘সহমত পোষণ করছি প্রিয় ভাইজান। মনে হয় এমন ফ্রেম আর কখনো দেখতে পাওয়া যাবে না। কারণ তখন আপনাদের ভেতরে আন্তরিকতা ছিল, ভালোবাসা ছিল, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান ছিল। বর্তমানে সবাই সুপারস্টার তাই কেউ কাউকে মূল্য দেয় না।’
বকুল বেলায়েত লিখেছেন, ‘আসলেই ভাই আপনাদের সময় সবকিছুই ভালো ছিলো। একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিলো। সবাই খুবই হেল্পফুল ছিলো। এখন আর সেটা নেই, তাই সিনেমা ও দেখা বাদ দিয়েছি।’
সামি ইসলাম কলি লিখেছেন, ‘তখনকার ভালোবাসা সুন্দর ছিল তাই একে অপরের সঙ্গে মিশেছে। সেটা এখনো প্রকাশ পাচ্ছে। তবে এখনকার সবগুলোর মনের মধ্যে ময়লায় ভরা। এজন্য সবার সঙ্গে মিশতে পারে না। শুধু নিজেকে হিরো মনে করে পর্দা আর তাদেরকে দেখা যায় না।’