
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে (পেন্টাগন) যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রম পুনরায় শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার রাতে (২৯ অক্টোবর) সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ট্রুথে এক পোস্টের মাধ্যমে এ নির্দেশ দিয়েছেন
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘রাশিয়া ও চীন যেভাবে পারমাণবিক কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। বা সফল পরীক্ষা চালাচ্ছে। তার পাল্টা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, ‘যে কোনও দেশের তুলনায় পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার আমেরিকার অনেক বেশি। তালিকায় দুইয়ে থাকবে রাশিয়া। আর চীন তিনে থাকলেও ব্যবধান অনেকটাই বেশি।’
তিনি লিখেছেন, ‘অন্যান্য দেশগুলি যেভাবে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক কর্মসূচী চালাচ্ছে, তা দেখেই দেশের সামরিক বাহিনীকে এই নির্দেশ দিয়েছি। অবিলম্বে এই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু হবে।’
অবশ্য সাফাই গেয়ে ট্রাম্প এটাও বলেছেন, ‘আমি এটার বিরোধী। কিন্তু আমার হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না।’ ’
এদিকে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া সফলভাবে একটি পোসেইডন পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্রটি বিশাল আকারের বিকিরণযুক্ত সমুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে ভয়াবহভাবে ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে একটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল।
সাধারণত এ ধরনের পরীক্ষা নতুন অস্ত্রের কার্যক্ষমতা যাচাই এবং পুরনো অস্ত্রগুলো কার্যকর আছে কিনা তা নির্ধারণে সহায়তা করে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি, এই পরীক্ষা রাশিয়া ও চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শনের কৌশলগত একটি উদ্যোগ।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের জুলাইয়ে নিউ মেক্সিকোর আলামোগোর্ডোতে ২০ কিলোটন ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা চালিয়ে পারমাণবিক যুগের সূচনা করে। এরপর ১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা ফেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়।