
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির সম্ভাবনা সম্পর্কে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
বার্তা সংস্তাহ তাসের প্রতিবেদ অনুসারে, লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর পুতিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশেষ পরিষেবা এবং বেসামরিক সংস্থাগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দেন।
ল্যাভরভ উল্লেখ করেন, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মস্কো কোনো ব্যাখ্যা পায়নি যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি কি পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী পরীক্ষা, তথাকথিত সাবক্রিটিক্যাল পরীক্ষার (এমন পরীক্ষা যেখানে কোনো পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া ঘটে না) প্রশ্ন ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ল্যাভরভ আরও উল্লেখ করেন, ‘হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই পূর্ণ-স্কেল পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার ওয়াশিংটনের ইচ্ছা সম্পর্কে কথা বলেছেন।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প একদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন বলে প্রত্যাশা করেছিলন। কিন্তু আশানুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছেন।
এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।