
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন বলেছেন, আসন্ন দলীয় কংগ্রেসে একই সঙ্গে পারমাণবিক শক্তি এবং প্রচলিত অস্ত্র প্রয়োগের নীতি প্রকাশ করবে পিয়ংইয়ং। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি এ কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার একাডেমি অফ ডিফেন্স সায়েন্সেসের অধীনে সাঁজোয়া প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র ইনস্টিটিউট এবং ইলেকট্রনিক অস্ত্র ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে কিম এ মন্তব্য করেন।
নতুন সাঁজোয়া যান এবং ইলেকট্রনিক অস্ত্রের উন্নয়ন পর্যালোচনা করার সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য প্রচলিত সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আধুনিকীকরণ’ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
কিম বলেন, ‘কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির নবম কংগ্রেস জাতীয় প্রতিরক্ষা গড়ার ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তি এবং প্রচলিত সশস্ত্র বাহিনী গঠনকে একই সঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার নীতি গ্রহণ করবে।’
উত্তর কোরিয়া এর আগে বলেছিল, তারা আগামী বছরের জুন মাসে পার্টির পূর্ণাঙ্গ সভায় নবম দলীয় কংগ্রেস আহ্বানের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। তবে অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার শেষ পার্টি কংগ্রেস ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এটি হয়ে থাকে।
এর আগে কিমের সরকার অত্যাধুনিক যেসব অস্ত্র তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ এবং কঠিন জ্বালানি-চালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
কিমের সর্বশেষ মন্তব্য ইঙ্গিত দেয়, উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির পাশাপাশি প্রচলিত অস্ত্রের উন্নয়নকে আরও উৎসাহিত করবে। কারণ প্রচলিত সামরিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া তুলনামূলকভাবে এগিয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। কিম প্রচলিত অস্ত্র আধুনিকীকরণ এবং মাঠ প্রশিক্ষণ, পাশাপাশি যুদ্ধ ক্ষমতা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপরে জোর দিয়ে আসছেন।