Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডির চরম সংকট: গভর্নর
পাকিস্তানের ‘ইতিহাস ও ভূগোল’ বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজনাথের, আবার শিরোনামে স্যার ক্রিক
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ ৫ ব্রিটিশ এমপির

পাকিস্তানের ‘ইতিহাস ও ভূগোল’ বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজনাথের, আবার শিরোনামে স্যার ক্রিক

পাকিস্তানের ‘ইতিহাস ও ভূগোল’ বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজনাথের, আবার শিরোনামে স্যার ক্রিক পাকিস্তানের ‘ইতিহাস ও ভূগোল’ বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজনাথের, আবার শিরোনামে স্যার ক্রিক
পাকিস্তানের ‘ইতিহাস ও ভূগোল’ বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজনাথের, আবার শিরোনামে স্যার ক্রিক


ভারত সীমান্তে কোনোরকম ‘দুঃসাহস’ দেখালে তার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের ‘ইতিহাস ও ভূগোল’ দুই-ই বদলে যেতে পারে বলে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

সম্প্রতি গুজরাটের কচ্ছে সামরিক ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ তোলেন, পাকিস্তান স্যার ক্রিক সংলগ্ন অঞ্চলে সামরিক অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

Advertisement

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সমস্ত সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম স্যার ক্রিক যা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে পৃথক করে।

রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের পরই আবার খবরের শিরোনামে চলে এসেছে এই অঞ্চল, যাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের।


সামরিক ঘাঁটিতে রাজনাথ সিং

অন্যদিকে, রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যের রেশ ধরেই পাকিস্তানকে আরও একবার সতর্ক করেছেন ভারতীয় সেনার চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। পাকিস্তানকে সতর্ক করে জানিয়েছেন তাদের তরফে কোনোরকম পদক্ষেপের জবাবে ভারতীয় সেনা আর ‘সংযম’ দেখাবে না।

তিনি বলেন, মানচিত্রে নিজেদের ভৌগোলিক অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পাকিস্তানকে তাদের ‘রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে’

কী বলেছেন রাজনাথ সিং?

বিজয়া দশমী উপলক্ষে গুজরাটের ভুজে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে উদযাপনের পাশাপাশি পূজায় অংশগ্রহণ করেন।

পরে ভাষণের সময় বিতর্কিত স্যার ক্রিক অঞ্চলের প্রসঙ্গ টেনে এনে পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘স্যার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানের কোনোরকম দুঃসাহসিক কার্যকলাপ দেখালে, তার কড়া জবাব দেবে ভারত। যার ফলে (পাকিস্তানের) ইতিহাস-ভূগোল পর্যন্ত বদলে যেতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৬৫ সালের যুদ্ধে, ভারতীয় সেনাবাহিনী লাহোরে পৌঁছে গিয়েছিল। আর আজ ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে, পাকিস্তানের মনে রাখা দরকার যে করাচীতে যাওয়ার একটা পথ এই স্যার ক্রিকের মধ্যে দিয়েই যায়।’

রাজনাথ সিংয়ের আরও দাবি করেন, স্যার ক্রিক নিয়ে বিরোধ মেটানোর জন্য ভারতের তরফে কূটনৈতিক স্তরে এর সমাধানের চেষ্টা হলেও পাকিস্তানে তাতে সম্মত হয়নি।

তিনি যোগ করেছেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও স্যার ক্রিক নিয়ে বিরোধ অব্যাহত রয়েছে। ভারত কূটনৈতিক দিক থেকে সমস্ত স্তরে এর সমাধানের চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে সমস্যা রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য শুদ্ধ নয়। পাকিস্তানি সেনা যেভাবে স্যার ক্রিকে সামরিক অবকাঠামোর বিস্তার ঘটাচ্ছে তা তাদের সেই উদ্দেশ্যেরই প্রতিফলন।’

এরপরই তিনি ইসলামাবাদকে সতর্ক করে বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে এমন যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের কড়া জবাব দেবে ভারত।

পরদিন একই সুর শোনা গিয়েছে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর কণ্ঠেও।


স্যার ক্রিকের ৪৬ নম্বর পিলার অঞ্চলের ছবি

সেনাপ্রধানের বক্তব্য

ভারতের প্রতিবেশী দেশের বিষয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের পরদিন সেনাদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে জেনারেল দ্বিবেদীকে বলতে শোনা যায়, পাকিস্তান যদি রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের ‘মানচিত্রে তাদের অবস্থানের’ বিষয়ে ‘ভাবতে’ হবে।

তিনি রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর জেলার অনুপগড়ের সেনাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে অপারেশনাল প্রস্তুতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করেন এবং পদক্ষেপের জন্য সম্পূর্ণভাবে তৈরি থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেছেন, ‘অপারেশন সিন্দুর ১.০-তে আমরা যে সংযম বজায় রেখেছিলাম এবার তা আর রাখব না… এবার আমরা এমন কিছু করব যা পাকিস্তানকে ভাবতে বাধ্য করতে পারে যে তারা ইতিহাস ও ভূগোলে (ভৌগোলিক অবস্থান টিকিয়ে রাখতে চায়) থাকতে চায় কি না। যদি পাকিস্তান ভূগোলে থাকতে চায়, তাহলে তাদের অবশ্যই রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিংকেও ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উল্লেখ করতে দেখা গিয়েছে।

গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানদের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলোতে কিন্তু তারই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেকেই অনুমান করেছেন।

এদিকে, স্যার ক্রিক নিয়ে হুঁশিয়ারির পর এই অঞ্চল নিয়ে আবার আলোচনা তীব্র হয়েছে, যদিও এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ অনেকদিনের।

স্যার ক্রিক কোথায় অবস্থিত?

স্যার ক্রিক প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খাঁড়িবেষ্টিত অঞ্চল। এই অঞ্চলের সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। কচ্ছের রণের পশ্চিমে অবস্থিত এই অঞ্চল।

বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’ এই অংশের নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে। এর আগেও এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সামরিক তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। সম্প্রতি স্যার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনার সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে নতুনভাবে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

এই সংকীর্ণ খাঁড়ি আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত। আগে এর নাম ছিল বনগঙ্গা। পরে ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে এর নাম বদলে ‘স্যার ক্রিক’ রাখা হয়। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই এই সীমান্তকে ভিন্নভাবে দেখে।

ভারত মনে করে সীমান্ত খাঁড়ির মাঝখানে করা উচিত। আবার পাকিস্তান মনে করে সীমান্ত হওয়া উচিত তাদের উপকূল থেকে কারণ ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ সরকার একে অ-নাব্য (অর্থাৎ যেখানে জাহাজ চলতে পারে না) বলে ঘোষণা করেছিল।

১৯১৪ সালের সিদ্ধান্ত ও পরবর্তীকালে বিবাদ

ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে সিন্ধু (বর্তমান পাকিস্তান প্রদেশ) এবং কচ্ছ (ভারতের গুজরাট রাজ্যের অঞ্চল) দুইই বোম্বে প্রেসিডেন্সির অংশ ছিল। কিন্তু স্যার ক্রিক নিয়ে দুই প্রদেশের মধ্যে সেই সময়েও বিরোধ ছিল। যদিও তখনও পর্যন্ত এই এলাকার জরিপ হয়নি।

জরিপ হয়েছিল ১৯১৩-১৪ সালের মধ্যে। তারপর বোম্বে প্রেসিডেন্সি একটা প্রস্তাব জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল স্যার ক্রিক একটা জলাভূমি। এর মধ্যে দিয়ে জাহাজ চলাচল করতে পারে না। তাই এর সীমানা মাঝখান থেকে নয় বরং উপকূল অর্থাৎ পূর্ব তীর থেকে হবে। ফলে স্যার ক্রিকের পুরো অংশ সিন্ধ প্রদেশের দিকে চলে যায়।

স্বাধীনতার পর পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে চাইলেও ভারত রাজি হয়নি। ভারত জানায় সীমান্ত খাঁড়ি অঞ্চলের মাঝখানে অর্থাৎ মিড চ্যানেল-এ হওয়া উচিত।

যুক্তি হিসাবে ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন এবং জাতিসংঘের সমুদ্র আইন সম্পর্কিত কনভেনশন (ইউএনসিএলওএস) এর নীতির কথা উল্লেখ করে। একে থালওয়েগ নীতি বলা হয়।

এই নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে যদি একটা নদী বা উপসাগর দুই দেশের মধ্যে অবস্থিত হয়, তবে সাধারণ পরিস্থিতিতে তার মাঝখান দিয়েই সীমানা স্থির করা হবে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের যুক্তি যেহেতু এই অংশ নাব্য নয়, তাই ওই নীতিটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

আবার ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে জানানো হয়, জোয়ার-ভাটার কারণে এই অঞ্চলের প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। এই অঞ্চল আর জলাভূমি নেই, এর মধ্য দিয়ে জাহাজও চলাচল করতে পারে। তাই প্রান্ত দিয়ে সীমানা নির্ধারণ অর্থহীন।

এই অঞ্চলের গুরুত্ব

সীমান্ত চিহ্নিত করার বিষয়ে এই মতপার্থক্যের কারণ দুই দেশই নিজেদের স্বার্থ। মাঝখান থেকে সীমান্ত বিবেচনা করলে ভারতের লাভ এবং পাকিস্তান লাভবান হবে যদি তা উপকূল থেকে চিহ্নিত হয়।

দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেশমি কাজীর মতে এই অঞ্চল, অর্থনৈতিক, সামরিক ও কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়াও, এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল) অর্থাৎ জল বা সমুদ্রের পৃষ্ঠে উপস্থিত সম্পদের অধিকার, মহাদেশীয় শেল্ফ অর্থাৎ সমুদ্রের নিচে জমি এবং এর খনিজ, তেল, গ্যাসের অধিকারের দিক থেকেও এটা গুরুত্বপূর্ণ।

তার মতে, এই অঞ্চল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়।

রেশমি কাজী ব্যাখ্যা করেছেন, ‘অনেক সময় আমরা দেখেছি যে এই বিতর্কিত সীমান্ত দুই দেশের মৎস্যজীবিদের জন্যও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি পাকিস্তান তাদের লেফট ব্যাংক আউটফল ড্রেন (এলবিওডি) প্রকল্পের অধীনে স্যার ক্রিকে লবণাক্ত এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াটার পাম্প করে ফেলে। পরিবেশগত দিক থেকে এর একটা প্রভাব রয়েছে। তাছাড়া এটা সিন্ধু জলচুক্তিরও লঙ্ঘন। এর ফলে এখানে দূষিত জল আসছে, কখনো কখনো বন্যার সমস্যাও দেখা দেয়। এগুলোই এই অঞ্চলকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।’

বিবাদ সমাধানের চেষ্টা

ভারত ও পাকিস্তান ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অফ দ্য সি (ইউএনসিএলওএস) এর সদস্য।

এই চুক্তির অধীনে, সব দেশকে ২০০৯ সালের মধ্যে তাদের সমুদ্র সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান করতে হয়েছিল। অন্যথায় বিতর্কিত অঞ্চল আন্তর্জাতিক জলক্ষেত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু ইউএনসিএলওএস-এর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ভারত ও পাকিস্তান স্যার ক্রিককে দ্বিপক্ষীয় ইস্যু বলে অভিহিত করে এবং তারা এই বিরোধকে কোনও আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে।

সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনো সমাধান মেলেনি।

রেশমা কাজীর মতে, ‘ভারত সরকারের অবস্থান হলো, সন্ত্রাসবাদ ও আলাপ-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। এটা একেবারে সত্যি কিন্তু এই সমস্যাগুলোর সমাধান শুধু সংলাপের মাধ্যমেই মিলতে পারে। তাই দুই দেশকেই এর সমাধান করতে হবে।’

রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর আরও একবার শিরোনামে চলে এসেছে স্যার ক্রিক এবং সে সম্পর্কিত বিবাদ।

তবে তার মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ রাহুল বেদীর মতে স্যার ক্রিকের বিষয়টা আর প্রাসঙ্গিক নয়।

তিনি বলেন, ‘স্যার ক্রিক নব্বইয়ের দশকে একটা হট টপিক ছিল, তবে এখন এটা একটা মৃত টপিক। রাজনাথ সিং কেন এই মুহূর্তে এমন বক্তব্য দিলেন তা পরিষ্কার নয়, তবে বলা যেতে পারে যে এটা পাকিস্তানকে সতর্ক করার একটা প্রচেষ্টা। এটা বোঝানো যে ভারতের চোখ কিন্তু এদিকেও রয়েছে। ভারত বারবার বলে এসেছে যে অপারেশন সিন্দুর এখনো চলছে, সেই দিক থেকেও এই মন্তব্যকে বিবেচনা করা উচিত।’

ভারতের সাবেক কূটনীতিক মহেশ সচদেব সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বলেন, ‘ভারত এই অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তানের দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলি। আমরা আমাদের এলাকা রক্ষার জন্য এখানে অবকাঠামোও গড়েছি। তাই রাজনাথ সিংয়ের এই বক্তব্য পাকিস্তানকে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা যে (পাকিস্তান) যুক্তরাষ্ট্র বা সৌদি আরবের কাছ থেকে যেকোনো সমর্থন পেলেও ভারত এ ধরনের চাপ বরদাস্ত করবে না। পাশাপাশি এটাও বোঝানো যে, পাকিস্তানের উসকানির জবাব দেওয়ার অধিকার ভারতের রয়েছে।’

অন্যদিকে, অধ্যাপক রেশমি কাজী মনে করেন স্যার ক্রিকের কথা মাথায় রেখে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার।

তার কথায়, ‘পাকিস্তান যদি স্যার ক্রিক এলাকায় তার সামরিক বাহিনী সম্প্রসারণ করে, তাহলে ভারতেরও উচিত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ও রাডার প্রযুক্তি জোরদার করা, কারণ এটা একটা সীমান্ত এলাকা এবং এখান দিয়ে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের ঝুঁকিও রয়েছে।’





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডির চরম সংকট: গভর্নর

ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডির চরম সংকট: গভর্নর

Next Post
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ ৫ ব্রিটিশ এমপির

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ ৫ ব্রিটিশ এমপির

Advertisement