
মাঠে গড়ানোর আগেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বিপিএলের ১২তম আসর। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আসে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে ক্রিকেটাররা অনুশীলনের জন্য নেমেছিলেন।
তবে হঠাৎ করে রেগে যান দলের কোচ সুজন। এক পর্যায়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে হাঁটা দেন তিনি। এ সময় কোথায় যাচ্ছেন তিনি—এমন প্রশ্ন করতেই ক্ষুব্ধ সুজন বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই বিপিএল করবো না।’
এমনকি বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্বে থাকতে চান না বলেও জানান সুজন। যদিও পরে আবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। শোনা যায়, দলটির অনুশীলনের সময় বল নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে।
এ ঘটনায় নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে অপেশাদার বলেছেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটার অর্থ তারা অপেশাদার। এটা তো আমি গভর্নিং কাউন্সিল বলি তাদের ১০টা বল দেন, আমরাই তো দিয়ে দিতাম। অবশ্যই অপেশাদার। এমনকি কোচকেও যদি বলত অন্য দল থেকে যদি না এসে থাকে। এটা খুবই সাধারণ সমাধান। না এলে অন্য দল থেকে আজকে চালিয়ে পরে ফেরত দেওয়া। এটা তো অনেকবার করা হয়েছে।’
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের এমন কাণ্ডের আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী আবদুল কাইয়ুম। এছাড়া ধু তা-ই নয়, বিপিএল শুরুর আগের দিন অধিনায়কদের আনুষ্ঠানিক সম্মেলন, ফটোসেশন কোনো কিছুই হয়নি।
এত অগোছালো অবস্থার মধ্যে বিপিএল আয়োজন প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এত অল্প সময়ে, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে সময়টা আমরা পেয়েছি, অক্টোবরের ১২-১৩ তারিখে দায়িত্ব পেয়েছি। আজ দেখেন এত শর্ট টাইমে এত কিছু করা, এরকম হতো যে আগে দল ছিল, তাহলে কিন্তু খুব সহজ হতো। এখন নতুন করে দল দিতে হয়েছে। কারণ, আগের চুক্তিগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল। এত কিছু করে এই দুই মাসে এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সত্যিই অনেক কঠিন।’