
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেকোনো মুহূর্তে গাজা যুদ্ধ বন্ধে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে বিঘ্নিত বা বানচাল করে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক আচরণ শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগগুলোর জন্য গুরুতর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
ফিদান বলেন, ‘নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার যুদ্ধবিরতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক।’ তার এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য নেতানিয়াহুর ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে, তবুও তিনি গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং সামরিক লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজা উপত্যকার কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলবে। এই অবস্থান ইঙ্গিত দেয়, যুদ্ধ শিগগিরই থামার সম্ভাবনা নেই।
একই সময়ে, হিব্রু দৈনিক ‘ইয়েদিওথ আহরোনোথ’ জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক মন্তব্য ও অবস্থান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনাকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে। সূত্রটি জানায়, নেতানিয়াহুর জেদি মনোভাব যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
অন্যদিকে, সিরিয়া ইস্যুতে ফিদান বলেন, তুরস্ক সেখানে যেকোনো ধরনের বিদেশী হস্তক্ষেপ বা দেশকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আঙ্কারা বর্তমানে সিরিয়া সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে মনোনিবেশ করছে, যাতে দেশটি স্থিতিশীলতার পথে অগ্রসর হতে পারে।
ফিদান আরও বলেন, সিরিয়ায় আসন্ন সংসদীয় নির্বাচন দেশটির জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’, যা দীর্ঘ সংঘাতের পর গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি