বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ নিলে জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, নিশ্চিতভাবে জিততাম। কারণ, আমার পাশে থাকা মানুষদের আমি জানি, আর ক্রিকেট পরিবারও জানে আমি কেমন মানুষ।
তামিম আরও বলেন, ১৫টা ক্লাব থাকুক বা না থাকুক, আমি নির্বাচনে দাঁড়ালে আমার জন্য ভোট না পড়ার কোনো কারণ ছিল না। আমার জন্য কাউকে বাসে করে আনতে বা বোঝাতে হতো না। আমি শুধু চেয়েছিলাম একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটাই ছিল আমার অবস্থান। 
সরকারি হস্তক্ষেপ এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অভিযোগে এবার বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তামিমসহ ১৬ জন। তৃতীয় বিভাগ বাছাই পেরিয়ে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ স্থগিতের প্রতিবাদেই তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। পরে ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরশিপ পুনর্বহাল হলেও তামিম নির্বাচনে ফেরেননি।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিবি নির্বাচনের আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ধৈর্য ধরলে’ অনেকেই বিসিবি পরিচালক হতে পারতেন।
সেই ধৈর্য না ধরে নির্বাচনের ‘ট্রেন’ মিস করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বিষয়ে আপনাদের কমবেশি ধারণা আছে। আপনি সত্যিই মনে করেন ১৫টা ক্লাব থাকুক বা না থাকুক—আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য বাস ধরা বা না ধরা কখনো বিকল্প ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া। এটাই ছিল আমার স্ট্যান্ড।’
এ সময় ই–ভোটিং নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, যখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই ভোটকেন্দ্রে থাকছেন, তখন ই–ভোটিংয়ের প্রয়োজন কী? এতে স্বচ্ছতার ঘাটতি থেকেই যায়।
একই সংবাদ সম্মেলনে ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঢাকার লিগসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সব ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণাও দেওয়া হয়। বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানালেও তামিমপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে।
ক্রিকেট বর্জনের ফলে খেলোয়াড়রা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন—এমন প্রশ্নে তামিমের জবাব, “এটা আমাদের চিন্তা নয়। যাঁরা অনিয়ম করে এই নির্বাচন করেছেন, তাঁদেরই আগে এসব ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
