
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে। নতুন বিধিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কোনো ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনী প্রচার ও ভোট গ্রহণের সময় পোস্টার, ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পলিথিন, রেক্সিন ও পরিবেশের ক্ষতিকর উপাদানে তৈরি প্রচারসামগ্রীও ব্যবহার করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে এআই বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোনো কনটেন্ট তৈরি বা প্রচার করা যাবে না। সংশোধিত বিধিমালা এখন আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
নতুন আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থী বা দলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি, ই-মেইল ও পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। ঘৃণ্য বক্তব্য, ভ্রান্ত তথ্য, কারও মুখ বিকৃত করা বা ক্ষতিকর কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। প্রার্থিতা বাতিল ও জরিমানা বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে।
প্রচারবিধিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি বিলবোর্ডের আকার সর্বাধিক ১৬ ফুট বাই ৯ ফুট হবে। হেলিকপ্টার ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে, লিফলেট বা ব্যানার ঝোলানো যাবে না। মাইকের শব্দ ৬০ ডেসিবেলের বেশি হতে পারবে না এবং সময়সীমা বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
ভিভিআইপি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ। প্রার্থীরা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন থেকে সংবর্ধনা নিতে পারবেন না।
ইসি সম্পাদক আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘চূড়ান্ত আচরণবিধি আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই কার্যকর হবে। শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে এবং আচরণবিধি ভঙ্গ করলে মনোনয়নপত্র বাতিল পর্যন্ত হতে পারে।’