
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার সরকারকে ‘গুম’ হওয়া ১২০ জনেরও বেশি লোকের সন্ধ্যান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জেনেভা-ভিত্তিক জাতিসংঘের বলপূর্বক বা অনিচ্ছাকৃত অন্তর্ধান বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বলেছে, কর্তৃপক্ষ যেন এসব লোকদের ‘ভাগ্য এবং অবস্থান’ স্পষ্ট করে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করার পর থেকে এসব লোককে জোরপূর্বক ‘গুম’ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ জানিয়েছে, ব্যাপক সংখ্যক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই, এমন ব্যক্তিরাও রয়েছেন। তারা সরকারি অবস্থানের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী বলে মনে করা হয়।
বিশেষজ্ঞ গ্রুপটি বলেছে, ‘যারা অধিকার রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদের প্রত্যেকেই নিকারাগুয়ায় জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। এই গুমগুলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে এবং সমাজে ভয় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এগুলো করা হয়েছে।’
এদিকে, রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়া সরকার।
জাতিসংঘের আরেকটি গ্রুপ গত মাসে বলেছিল, ওর্তেগা এবং তার স্ত্রী রোজারিও মুরিলোর নেতৃত্বাধীন সরকার বিদেশে নিকারাগুয়ানদের লক্ষ্য করে দমন-পীড়ন বৃদ্ধি করেছে।
২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে নিকারাগুয়া রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে, যখন সামাজিক বিক্ষোভের মুখে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী সহিংস দমন-পীড়ন চালায়। মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতে, সেসময় প্রায় ৩৫৫ জন নিহত, ২০০০ জনেরও বেশি আহত এবং লাখ লাখ মানুষ নির্বাসনে যায়।