
দলের মোট রান ২২৩। এরমধ্যে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকেরই ১৩৫! যা দলের মোট রানের ৬০.৫৩ শতাংশ। এতেই রেকর্ড গড়ে ফেললেন ব্রুক। ওয়ানডে ক্রিকেটে সম্পূর্ণ ইনিংসে কোনও ইংলিশ ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অবদান এটি।
এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল রবিন স্মিথের দখলে। ১৯৯৩ সালে বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৭৭ রানে শেষ করা ইনিংসে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৬৭ রানে। যা ছিল দলের মোট রানের ৬০.২৮ শতাংশ।
মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ে একাই লড়লেন হ্যারি ব্রুক, যদিও শুরুতে ইংল্যান্ডের ধসে পড়া ব্যাটিং লাইনআপকে উদ্ধার করে আশা জাগিয়েছিল হ্যারি ব্রুকের বিধ্বংসী ব্যাটিং। কিন্তু তার ‘ওয়ান ম্যান শো’ কাজে দেয়নি শেষ পর্যন্ত।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। শুরুতেই ভেঙে পড়ে—৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা, ৯ ওভারে ৩৩ রানে নেই ৫ উইকেট! তবে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একাই ঝড় তোলেন হ্যারি ব্রুক। ১০১ বলে ১৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে হাঁকান ১১টি ছক্কা ও ৭টি চার। অথচ ইংল্যান্ডের প্রথম সাত ব্যাটারের মধ্যে কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।
কিন্তু ব্রুক একাই হাঁকান ১১টি ছক্কা। যার সাতটিই আসে শেষ উইকেট জুটিতে। লুক উডের সঙ্গে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। যা ইংল্যান্ডের এই উইকেটে রেকর্ড জুটি। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রানে।
ইংল্যান্ডের দেওয়া ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নতুন বলে দুর্দান্ত স্পেলে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন ব্রাইডন কার্স। তাতে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু ইংল্যান্ডের ফিল্ডিং ব্যর্থতা শেষ পর্যন্ত দলটিকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিতে ভূমিকা রাখে। মাত্র ২ রানে মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ৩৩ রানে ড্যারিল মিচেলকে জীবন দেন তারা। সেখান থেকেই ম্যাচ ঘুরে যায়।
ব্রেসওয়েল সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। মিচেল অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। তার সঙ্গে পরে জুটি গড়েন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়ে তিনি ফেরেন ২৭ রানে। শেষ পর্যন্ত মিচেলেরঅপরাজিত ব্যাটিংয়েই ১৩.২ ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেট জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ নিউজিল্যান্ড জিতলেও ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে উঠেছে ইংল্যান্ডের পক্ষে একাই লড়াই করা হ্যারি ব্রুক।