
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শেইবানি এবং ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার লন্ডনে একটি দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিরিয়া টিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৭৪ সালে সিরিয়া-ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া ‘নিরস্ত্রীকরণ’ চুক্তির মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত একটি নতুন খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে উভয় দেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকটি দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাক আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন এবং তিনিও এতে অংশ নেন।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এর আগে বলেছিলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ ‘আগামী দিনে ফলাফল আনতে পারে’।
তবে তিনি দাবি করেছিলেন, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের গোলান মালভূমিতে পুনরায় মোতায়েন করা হোক।
তিনি বলেন, তারা চান ইসরায়েল ‘সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে এবং এর আকাশসীমা লঙ্ঘন বন্ধ করবে।’
আল নাহার সংবাদপত্রের মতে, খসড়াটি ১৯৭৯ সালের মিশর-ইসরায়েলি শান্তি চুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এর অধীনে দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে তিনটি ‘অসামরিকীকরণ’ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে দূরত্বের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সিরিয়াকে এই অঞ্চলগুলোতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের অনুমতি দেওয়া হবে, তবে এর ওপর দিয়ে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
দামেস্কে আসাদ সরকারের শাসন পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দখল করা হারমন পর্বতের (জাবাল এল শেখ) নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা হবে বলেও ইসরায়েল দাবি করেছে।