
কাতারের দোহায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা খালিল আল-হায়্যা নিজের ছেলেকে হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। হামলার এক মাস পর এই হামাস নেতা তার নীরবতা ভাঙলেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিতে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি ওই হামলার বর্ণনা দেন এবং এতে নিহতদের কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্যে তার ছেলেও ছিলেন।
খালিল আল-হায়্যা বলেন, ‘আমার কাছের নিজের ছেলে হারানোর বেদনা গাজা উপত্যকায় চলমান হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞের থেকে বড় নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের সঙ্গে অন্য কোনো ফিলিস্তিনি শিশুর মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না, যাদের ইসরায়েল হত্যা করেছে।’
আল-হায়্যা নিহতদের শহীদ আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগ চলমান প্রতিরোধের প্রেরণা হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করি, তাদের রক্তই হোক বিজয়ের পথ, জেরুজালেমের মুক্তির পথ, ইসরায়েলের অপমানের পথ এবং ইসলামী ও আরব জাতির জয়ের পথ।’
ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো জানায়, এই হামলাটি ঘটেছিল যখন হামাসের শীর্ষ নেতারা ‘ট্রাম্প প্রস্তাবিত ফ্রেমওয়ার্ক’ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন।
এক জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, আলোচনাকারী দলটি দোহায় বৈঠক করার সময়ই হামলাটি ঘটে। সৌদি টেলিভিশন চ্যানেল আল-হাদাস জানায়, ওই বৈঠকে খালেদ মাশাল, গাজি হামাদ, মুহাম্মদ দারউইশ, মুসা আবু মারজুক এবং হুসাম বদরানও উপস্থিত ছিলেন। ব্যাপক এই অভিযানের পরেও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা পরবর্তীতে জানান, লক্ষ্যবস্তু করা কোনো শীর্ষ হামাস নেতা নিহত হননি।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট