
গতকাল প্রথম দিন জাতীয় দলের ক্যাম্পে ৬ ফুটবলারকে পাঠায়নি মোহামেডান। দলের প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকায় ৫ অক্টোবর পাঠাবেন বলে জানিয়েছিলেন ক্লাবের কোচ আলফাজ আহমেদ। কিন্তু এক দিনও না যেতে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে হলো মোহামেডানকে। গতকাল রাতেই ৫ ফুটবলার পাঠিয়েছেন, আজ মেহেদী মিঠু যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন আলফাজ।
মোহামেডানের খেলোয়াড়রা না আসায় বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল গতকাল বাফুফে ভবনে গিয়েছিলেন। মোহামেডানের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিবকে ফেডারেশনে আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি। দুপুরেই দুজনের মধ্যে দেখা হয়। আলোচনায় খেলোয়াড় ছাড়তেও রাজি হয় মোহামেডান, তবে মোহামেডানের কণ্ঠে উঠে আসে লিগ কমিটির নানা বিষয় নিয়ে অসংগতি, অভিযোগ।

লিগ কমিটি ক্লাবগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, খেলবে ক্লাবগুলো কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলা হয় না। লিগের ফিকশ্চার নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে বলে ঐ সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। এ সময় বাফুফের সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরেফ ছিলেন। তিনি বাফুফের একটি সভায় লিগ কমিটির নানা অসংগতির কথা তুলেছিলেন বলে সেই সভা থেকে জানা গিয়েছিল।
ক্লাবগুলোর পক্ষে কথা বলেছিলেন আরেফ। লিগের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি খেলা অথচ কীভাবে ফিকশ্চার হয়, কোনো ক্লাব সেটি জানতে পারে না। ক্লাবগুলোকে নাকি কথা বলতে দেওয়া হয় না। ক্লাবগুলোর কথা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে ১০ নম্বর দলের বিপক্ষে। রানার্সআপ দল খেলবে ৯ নম্বর দলের বিপক্ষে। লিগের শেষ খেলা হবে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপের মধ্যে। ক্লাব কর্মকর্তা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক-সবাই এই হিসাবটাই সহজে বুঝে। কিন্তু লিগ কমিটি সেটি না করে নিজেদের পছন্দ মতো একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফিকশ্চার প্রণয়ন করায় আপত্তি মোহামেডানসহ বিভিন্ন ক্লাবের।