
তানজানিয়ায় নির্বাচনী বিক্ষোভের পর ২০০ জনেরও বেশি লোকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। একজন আইনজীবী এবং বিচার বিভাগীয় সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির বিরোধী দল গতকাল জানিয়েছে, তাদের আরও একজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান ২৯ অক্টোবরের নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তবে নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা ছিল; তারা নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
নির্বাচনের দিন পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী দল জানিয়েছে, নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ৮০০ জন নিহত হয়েছেন। কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা সূত্রগুলো এই অনুমানকে সমর্থন করেছে। বিরোধীদলীয় নেতারা বলেন, বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে যে, সংখ্যাটি হাজারে পৌঁছাতে পারে।
তবে সরকারি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত নিহত বা আহতদের কোনো সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বিরোধী দলের নেতা টুন্ডু লিসু এপ্রিল মাস থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক রয়েছেন। দলের ভাইস-চেয়ারম্যান জন হেচেকে অক্টোবরে আটক করা হয়েছে এবং পরে সন্ত্রাসবাদমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে দেশটির পুলিশ সতর্ক করে বলেছে, তারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে মহাসচিব জন মানিকা, ডেপুটি আমানি গোলুগওয়া এবং মুখপাত্র ব্রেন্ডা রূপিয়াকে ‘খুঁজছে’।
তানজানিয়া পুলিশের মুখপাত্র ডেভিড মিসাইম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা তাদের অবিলম্বে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’