
বিসিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রয়াত ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমানের নেতৃত্বে গুটি কয়েক সংগঠক মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তাদের মধ্য অন্যতম খন্দকার জামিল। আজকের মিরপুরে সাজানো গোছানো ক্রিকেটের বাগান বানিয়ে তারাই ফুল ফুটিয়ে ছিলেন। তখন প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছিল, কেন মিরপুরে যাবে ক্রিকেট।
খন্দকার জামিলসহ অন্যান্য সংগঠকের সামনে কথার ছলে আরাফাত রহমান ইত্তেফাককে জানিয়েছিলেন ভাত যেখানে ছিটাবেন, সেখানে কাক আসবে। মিরপুরে খেলার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হলে সেখানেই দর্শক আসবে। আরাফাত রহমান বলেছিলেন, ‘মানুষ সারা দিনের জন্য মিরপুরে গিয়ে ক্রিকেট খেলা দেখবে।’
হোম অব ক্রিকেট গড়ে তোলার পেছনের অন্যতম কারিগর খন্দকার জামিল। ছিলেন বিসিবির পরিচালক। তখন সত্যিকারের সংগঠকরা বিসিবির হাল ধরতেন। সেই সাজানো বাগানেই এখন সবার নজর। বিসিবিতে পদ পেলে মন্ত্রীর চেয়েও বেশি মর্যাদা পাওয়া যায়, তাই পদ পেতে এত কাড়াকাড়ি। এখন বিসিবিতে যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে সত্যিকারের কতজন ক্রীড়া সংগঠক আসছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন খন্দকার জামিল।
যারা নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তাদের নাম দেখে দুশ্চিন্তার ভাজ জামিলের কপালে। ক্রিকেট উন্নতি হবে কিনা। ‘সাংগঠনিক ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকলে ক্রিকেটের মতো মহাযজ্ঞ পরিচালনা করা কঠিন-মনে করছেন খন্দকার জামিল।’ দেশের এত বড় একটি খেলা। এখানে জৌলুস আছে। কিন্তু এই জৌলুসের পেছনে কাজ করার অভিজ্ঞতা যদি না থাকে দিন শেষে ক্ষতি হবে দেশের ক্রিকেটের। অনেক যোগ্য সংগঠক নির্বাচনী মারপ্যাঁচে বাদ পড়েছেন, জামিল বললেন, ‘শাহীন ভাইয়ের মতো সংগঠকও বাদ পড়েছেন।’
খন্দকার জামিলরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সংগঠন করেছেন। তারা পরীক্ষিত সংগঠক, কারো কাছে ধরনা দেবেন না। পদ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করবেন না। কাউকে অনুরোধ করতেও রাজি না। কখনো আগ বাড়িয়ে যাবেন না। অথচ ক্লিন ইমেজের এই সব সংগঠকরা সরকারের নজরে পড়েননি।
দূর থেকে বিসিবির নির্বাচন পর্যবেক্ষ করছেন।
কেমন দেখছেন বিসিবির নির্বাচন? এমন প্রশ্নে খন্দকার জামিলের কণ্ঠে হতাশা। ‘হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া আমি কাউকে চিনি না। তো অভিজ্ঞ কাউকে দেখছি না। ক্রিকেটের মতো এই মহাযজ্ঞ চালাবে কী করে! হতাশা ছাড়া কিছুই নাই। আমার প্রত্যাশা ছিল উন্মুক্ত বাতাসে সুন্দর নির্বাচন হবে, ক্রিকেট ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এমন সংগঠকরা আবার বিসিবিতে আসবেন।’
তামিম ইকবালের নির্বাচন এবং সরে যাওয়া প্রশ্নে খন্দকার জামিল বললেন, ‘ভুলটা তামিম-ই করে গেছে। নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করতে বললেন তামিম। আমার কথা হচ্ছে তামিম কেন সমঝোতা করতে গেলো। তুমি (তামিম ইকবাল) সমঝোতা করতে গিয়েই তো আজকে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তুমি তোমার ১২ জন নিয়েই নির্বাচন করতা। ক্লাব ক্যাটাগরি-২ থেকে ৭৬ ভোটারের মধ্যে যদি ১৫টা বাদ হয়, তারপরও ৬১ জন কাউন্সিলর থাকে। ভোট করতে অসুবিধা কোথায় ছিল। আমার প্রশ্ন তামিম সমঝোতায় কেন গেছে।’