
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবির সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন ২০ দিন পর ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।
মো. আক্তার হোসেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নে কর্মরত সদস্য ছিলেন। তিনি ভোলা জেলার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত আক্তার হোসেনকে গত ১৩ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচ থেকে হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে গিয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেই থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নায়েক আক্তার হোসেন মারা যান।
লে. কর্নেল খায়রুল আলম জানান, বিজিবি সদস্যের মৃতদেহটি ঢাকাস্থ সিএমএইচের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে তার লাশটি ভোলা জেলার গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সামরিক মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বিজিবির একটি দল টহল দিচ্ছিল। এসময় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা একটি মাইন বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে আক্তার হোসেনের বাম পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং অপর পা ক্ষতবিক্ষত হয়। পরে বিজিবি সদস্যরা আহত আক্তারকে উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচে ভর্তি করে।