
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আরেকটি তথাকথিত মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালিয়ে চার জনকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যের বরাতে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ক্যারিবীয় এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌকাগুলো লক্ষ্য করে এই ধরনের হামলা শুরু করে ওয়াশিংটন। এর ফলে বিতর্কিত ‘মাদকবিরোধী অভিযানে’ নিহতের সংখ্যা ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমান। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এই মাসে ওয়াশিংটনকে হামলার বৈধতা তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জোরালো প্রমাণ রয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, নতুন হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি পেন্টাগন।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন কংগ্রেসে পাঠানো এক নোটিশে বলেছে, লাতিন আমেরিকার মাদক কার্টেলগুলোর সঙ্গে তাদের দেশ ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ লিপ্ত।
হামলার ন্যায্যতা প্রমাণের অংশ হিসেবে নোটিশে ভুক্তভোগীদের ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ অভিযানের অনুমোদনও দিয়েছেন এবং কথিত মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে দেশটিতে স্থল আক্রমণের কথা বিবেচনা করছেন।
ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে, জীবনের জন্য আসন্ন হুমকি সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেবলমাত্র শেষ অবলম্বন হিসাবে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার অনুমোদিত।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, হামলার শিকার নৌকাগুলোতে থাকা কোনো ব্যক্তিই অন্যদের জীবনের জন্য আসন্ন হুমকি বলে মনে হয়নি বা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সশস্ত্র শক্তি ব্যবহারের ন্যায্যতার প্রমাণ মেলেনি। এই হামলার দ্রুত, স্বাধীন এবং স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া দরকার।