
যুক্তরাষ্ট্রকে ক্যারিবিয়ান এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তথাকথিত মাদক পাচারকারীদের জাহাজের ওপর হামলা বন্ধ করার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, এই মানুষদের ‘এমন পরিস্থিতিতে হত্যা করা হয়েছে, যার কোনো যুক্তি আন্তর্জাতিক আইনে পাওয়া যায় না।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্যারিবিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন হামলায় নৌকায় থাকা কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছে। নৌকাগুলোতে মাদক পরিবহন করা হচ্ছিল বলে ওয়াশিংটন দাবি করেছে।
তবে নিহতের পরিবারের সদস্য এবং ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই জেলে ছিলেন। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এই আক্রমণগুলো অগ্রহণযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই ধরনের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এবং এই নৌকাগুলোতে থাকা মানুষদের বিচারবহির্ভূত হত্যা রোধে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে হবে – তাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগই থাকুক না কেন।’
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসে পাঠানো এক নোটিশে বলেছে, লাতিন আমেরিকার মাদক কার্টেলগুলোর সঙ্গে তাদের দেশ ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ লিপ্ত। এই হামলার ন্যায্যতা প্রমাণের অংশ হিসেবে ভুক্তভোগীদের ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে। তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ অভিযানের অনুমোদনও দিয়েছেন এবং কথিত মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে দেশটিতে স্থল আক্রমণের কথা বিবেচনা করছেন।
ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে, জীবনের জন্য আসন্ন হুমকি সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেবলমাত্র শেষ অবলম্বন হিসাবে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার অনুমোদিত।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, হামলার শিকার নৌকাগুলোতে থাকা কোনো ব্যক্তিই অন্যদের জীবনের জন্য আসন্ন হুমকি বলে মনে হয়নি বা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সশস্ত্র শক্তি ব্যবহারের ন্যায্যতার প্রমাণ মেলেনি। এই হামলার দ্রুত, স্বাধীন এবং স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া দরকার।
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	