
ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে আয়োজিত হলো ‘লালন উৎসব ও লালন মেলা’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে ‘প্রথমবারের মতো’ শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়, যা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই উৎসব ছিল ‘নতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায়’র অংশ। তবে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় লালন ধামে তিন দিনের উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার, যা শেষ হবে রোববার (১৯ অক্টোবর)।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত একদিনের এই আয়োজনে সন্ধ্যায় প্রথমে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়, এরপর শুরু হয় লালন সংগীতানুষ্ঠান। এ্যানি বৈরাগী ও সুখলাল রায় শুরুতেই ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’ ও ‘আল্লাহ বলো মনরে পাখি’ গানগুলো পরিবেশন করেন।
এরপর শিল্পী সূচনা শেলী, ফাহমিদা আহমেদ শিফা, বাউলা ব্যান্ড, এবং গানের দল ‘টংয়ের গান’ তাদের পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন। শিল্পী পথিক নবী ও টিম ক্রিয়েটিভ পরিবেশন করে ‘তিন পাগলের হলো মেলা’সহ লালনের কয়েকটি গান। এছাড়া শিল্পী অরূপ রাহী এবং গানের দল সমগীত তাদের পরিবেশনা তুলে ধরে।
এই উৎসবে লালনসংগীত পরিবেশন করেন নীরব অ্যান্ড বাউলস, দীনা মণ্ডল, মুজিব পরদেশী, কানিজ খন্দকার মিতু ও সাগর বাউল। এছাড়াও আলেয়া বেগম, শিবলু, মাখন দেওয়ান মার্থা, টুনটুন বাউলের দল ‘বেঙ্গল সিম্ফনি’ ‘মিলন হবে কতো দিনে’ ও ‘মন তুই করলি রে কি ইতর পনা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে।
সবশেষে ব্যান্ড ‘লালন’ মঞ্চে এসে ‘জাত গেল’, ‘ক্ষ্যাপা’, ‘অপার’, ‘সময় গেলে’, ‘গুরুর চরন’ ও ‘পাগল’ গানগুলো পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সংস্কৃতি সচিব মফিদুর রহমান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ইবনে ওয়াহাবসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।