
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। চলতি বছর এ রোগে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের অধিকাংশই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই-তিন দিনের মধ্যেই মারা গেছেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
তিনি বলেন, ‘এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ২০-৩০ বছর বয়সি রোগীদের মধ্যে। অনেকেই জ্বর শুরু হওয়ার পর ছয়-সাত দিন অবহেলা করে হাসপাতালে এসেছেন, আর ভর্তি হওয়ার পর দু-তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। শিশুদের মধ্যেও মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে।’
যদিও আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি, তবে মৃত্যুহার তুলনামূলক কম বলেও জানান তিনি। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, বেশিরভাগ রোগীই সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আসছেন, যার ফলে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে।
ডা. আবু জাফর বলেন, ‘জ্বর দেখা দিলে দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত। দেরি করলে রোগ জটিল হয়ে যায় এবং মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করাই সবচেয়ে জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যত ব্যবস্থাই নিক না কেন, জনগণ সচেতন না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতাল পরিচালনা শাখার পরিচালক ডা. মইনুল হাসান বাপ্পি জানান, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হচ্ছে, যাতে প্রতিটি রোগী একজন নির্দিষ্ট চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকেন। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।