
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জালিয়াতির মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল হোসেনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ওএসডি করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কামাল হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রকৃত মা–বাবা কারা তা নিশ্চিত করতে। দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এর উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি পাওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের উদ্দেশ্যে কামাল হোসেন নিজের জন্মদাতা পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে দেখান।
এই কৌশলে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি লাভ করেন।
মা-বাবা সম্পর্ক যাচাইয়ে কামাল হোসেনের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তার মা–বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ মিলিয়ে দেখার নির্দেশনার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর দুদক ডিএনএ পরীক্ষার অনুমোদন দেয়।
দুদক সূত্র বলছে, “মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফলাফল পাওয়া গেলে অভিযোগের সত্যতা নির্ধারণে এটি হবে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।”