
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ানিম নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক শেষে ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে ২০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকটি আরব রাষ্ট্র এটিতে সমর্থন জানালেও বিশ্লেষকরা এটিকে ‘আমেরিকান-ইসরায়েলি’ পরিকল্পনার অংশ বলে বর্ণনা করছেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) লাইভ প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক ক্রিস ডয়েল লন্ডন থেকে বলেছেন, ট্রাম্পের সম্প্রতি ঘোষিত ২০-দফা গাজা পরিকল্পনা ‘একটি আমেরিকান-ইসরায়েলি দলিল’।
ব্রিটিশ-আরব আন্ডারস্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের পরিচালক ডয়েল বলেন, গাজা যে নরকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা থেকে বের করে আনার জন্য একটি চুক্তি গঠন করতে হামাস বা অন্য কোনো ফিলিস্তিনি দলকে আলোচনায় আনার ইচ্ছা ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
তিনি বলেন, হামাস এবং বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী শক্তি এই প্রস্তাবের ফাঁকগুলো পূরণ করার চেষ্টা করছে। ট্রাম্পের দফার অনেকগুলোই এখনো অস্পষ্ট।
ডয়েল বলেন, মার্কিন-ইসরায়েলি প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনিদের কোনো মতামত ছাড়াই গাজার ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবের কথা জানায় হোয়াইট হাউস।
এর অধীনে গাজায় একটি অস্থায়ী টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন হবে এবং ইসরায়েল এই উপত্যকাকে সংযুক্ত করবে না। কাউকে গাজা ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করা হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, যদি উভয় পক্ষই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তাহলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত এবং মৃত সকল বন্দীকে ফিরিয়ে আনা হবে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর আটক গাজা থেকে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী এবং ১৭০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
এতে আরও বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি সৈন্যদের পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তুতি হিসেবে সমস্ত সামরিক অভিযান স্থগিত করা হবে। শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হামাস সদস্যরা সাধারণ ক্ষমা পাবেন এবং অন্যদের গ্রহণকারী দেশগুলোতে নিরাপদে যাওয়ার পথ প্রদান করা হবে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাহিনী নিরাপত্তা প্রদান করবে এবং তারা ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে। গাজায় সাহায্য প্রবাহিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র সহাবস্থানের জন্য ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সংলাপ সহজতর করবে।