
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে ‘এইচ-১বি’ ভিসার আবেদনে ১ লাখ ডলারের ডলার ফি আরোপের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তরুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পেশাদারদের আকৃষ্ট করতে নতুন ক্যাটাগরির ভিসা ঘোষণা করেছে চীন।
গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, বেইজিং সাধারণ ভিসা বিভাগগুলোতে ‘কে ভিসা’ যোগ করছে। এর লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতে দক্ষ তরুণ পেশাদারদের আকর্ষণ করা।
ইতোমধ্যে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বিদেশিদের প্রবেশ এবং প্রস্থান প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ সংশোধনের সিদ্ধান্ত জারি করার জন্য একটি ডিক্রিতে সই করেছেন। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া-র এক প্রতিবেদন অনুসারে, নতুন নিয়ম আগামী ১ অক্টোবর থেকেই কার্যকর হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বেইজিংয়ের ‘কে ভিসা’ ওয়াশিংটনের ‘এইচ-১বি’ ভিসার চীনা সংস্করণ। বিশ্বব্যাপী কর্ম ভিসার নিয়ম ক্রমাগত কঠোর হওয়ার মধ্যে শীর্ষ প্রতিভাদের আকর্ষণ করার জন্য চীন তৈরি করেছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের ১২টি সাধারণ ভিসা ক্যাতাগরির তুলনায় ‘কে ভিসা’ বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে।
মূল বৈশিষ্ট্যগুলো
নমনীয়তা: একাধিক এন্ট্রি সুবিধা, দীর্ঘ মেয়াদে ও দীর্ঘ সময় ধরে থাকার সুযোগ।
নিয়োগকর্তার স্পনসরশিপের প্রয়োজন নেই: বেশিরভাগ কর্ম ভিসার বিপরীতে, আবেদনকারীদের স্থানীয় নিয়োগকর্তার আমন্ত্রণের কোনো প্রয়োজন হবে না।
কার্যকলাপের বিস্তৃত পরিধি: ভিসা ধারকরা একাডেমিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়িক বিনিময়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে চীন থেকে ৩৮.০৫ মিলিয়ন বিদেশি ভ্রমণ হয়েছে। এটি আগের বছরের তুলনায় ৩০.২% বেশি, যেখানে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ ঘটেছে ১৩.৬৪ মিলিয়ন বিদেশির।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইতোমধ্যেই ১ লাখ ডলারের মার্কিন ‘এইচ-১বি’ ভিসার বিপরীতে অনেক ভারতীয় এবং দক্ষিণ এশীয় পেশাদাররা ‘নতুন ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা’ পুনর্বিবেচনা করছেন। কেননা চীনের ‘কে ভিসা’ আরও নমনীয় এবং কম ব্যয়বহুল বিকল্প দেবে।