
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী নৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি এখন নির্বাচনমুখী। গত ১৩-১৪ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নে সেনাসদস্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিমাণ তিন গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ট্রেনিং, পোস্টিং, প্রমোশনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঘটনাটি সেনাসদস্যদের মনোবলে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী মোর্যালি ইফেক্টেড (নৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত).. মোর্যালি আপসেট (নৈতিকভাবে বিপর্যস্ত)। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে আমরা সব সময় ন্যায়ের পক্ষে থাকব।’
অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল আরও বলেন,অবসরে যাওয়া যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, তাদের পুলিশ চাইলে গ্রেপ্তার করতে পারে। আমরা শুধু বলেছি, যদি তারা আমাদের হেফাজতে আসতে চায়, তাহলে সেটাও সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, অবসরপ্রাপ্তরা সরাসরি সেনাসদর দপ্তরের অধীন নন।’
উল্লেখ্য, শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাসদর জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে চাকরিতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। বাকি একজন কর্মকর্তা পলাতক।
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা