
বছর শেষের পথে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট পরিসংখ্যান এখন আলোচনায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০২৫ সালে কে কতটা সাফল্য পেয়েছেন, তার হিসাব কষতে গিয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশি তিন বলারের নাম।
এর মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এই মুহূর্তে বছরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (যৌথভাবে) বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সেই সঙ্গে এই তালিকায় উঠে এসেছে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের নাম।
রিশাদ এখন পর্যন্ত ২১ ইনিংসে ২৬ উইকেট নিয়েছেন, যা তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে তুলেছে। হোল্ডার ১৭ ম্যাচে সমান সংখ্যক উইকেট শিকার করেছেন। তবে রিশাদের ইকোনমি রেট (৮.৫০) হোল্ডারের (৮.৫৯) চেয়ে কিছুটা ভালো, যদিও বোলিং গড়ের দিক থেকে ক্যারিবীয় পেসার এগিয়ে আছেন। হোল্ডারের বোলিং গড় ২১, আর রিশাদের ২৪ দশমিক ৩০।
তবে শুধুমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দলের হিসেব বাদ দিয়ে সব দেশকে একসঙ্গে ধরলে রিশাদের নাম কিছুটা পেছনে পড়ে যায়। ওই তালিকায় দেখা গেছে, আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকজন বোলার এগিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে বাহরাইনের রিজওয়ান বাট ২৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে সামগ্রিকভাবে শীর্ষে আছেন। অস্ট্রিয়ার উমাইর তারিক (৪৮ উইকেট) ও আকিব ইকবাল (৪৩ উইকেট) রয়েছেন তার পরের দুই স্থানে। এই তালিকায় রিশাদ অবস্থান করছেন দশম স্থানে। শুধুমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে হিসেব করতে গেল রিশাদ ও হোল্ডার যৌথভাবে এক নম্বরে রয়েছেন।
রিশাদ ও হোল্ডারের কাঁধে নিশ্বাস ফেলছেন আরও পাঁচজন বোলার। পাকিস্তানের মোহাম্মদ নেওয়াজ, নিউজিল্যান্ডের জ্যাক ডাফি, জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভা এবং বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। নেওয়াজ ১৯ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়েছেন, ডাফি ও এনগারাভাও ২৫ উইকেট নিয়ে সমান অবস্থানে। তাসকিন ১২ ইনিংসে ২৪ উইকেট ও মোস্তাফিজ ১৭ ইনিংসে ২৩ উইকেট নিয়ে রয়েছেন রিশাদের ঠিক পেছনে।
বলা চলে, রিশাদ-তাসকিন-মোস্তাফিজের সামনে এগিয়ে আরও সুযোগ আছে। কেননা এ বছর এফটিপি অনুযায়ী আরও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি সিরিজে এখনও একটি ম্যাচ বাকি। তাছাড়া আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।