
সাধারণত শীতের মৌসুমে হাঁসের মাংস বেশি খাওয়া হয়। নতুন চালের গুঁড়া দিয়ে রুটি তৈরি করে হাঁসের মাংস দিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। তবে বর্তমানে সব মৌসুমেই কম বেশি হাঁস রান্না করে থাকেন মানুষ।
এমনকি হাঁসের মাংস খেতে অনেকে নীলা মার্কেট পর্যন্ত চলে যায়। তবে সেই ঝাল ঝাল সুস্বাদু মাংস যদি বাসায় রান্না করেই খাওয়া যায়, তাহলে অনেকেরই টাকা বেঁচে যাবে। এছাড়া হাঁস দিয়ে অনেক রকম পদ রান্না করা যায়। তবে যারা সহজ ও সাধারণ রেসিপি বেশি পছন্দ করেন, তাদের জন্য সহজ একটি পদ হতে পারে হাঁসের ঝাল মাংস। চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-
উপকরণ-
১. হাঁসের মাংস ১ কেজি
২. পেঁয়াজ কিউব কাটা আধা কাপ
৩. আস্ত রসুন ৫টি
৪. পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ
৫. আদাবাটা দেড় টেবিল চামচ
৬. রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ
৭. মরিচগুঁড়া ২ চা চামচ
৮. হলুদগুঁড়া ১ চা চামচ
৯. ধনিয়াগুঁড়া ১ চা চামচ
১০. জিরাগুঁড়া আধা চা চামচ
১১. ভাজা জিরার গুঁড়া আধা চা চামচ
১২. নারকেলের দুধ ১ কাপ
১৩. পেঁয়াজ বেরেস্তা ৩ টেবিল চামচ
১৪. গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ
১৫. তেজপাতা ৩টি
১৬. দারুচিনি ৪ টুকরা
১৭. এলাচ ৪টি
১৮. লবণ স্বাদমতো
১৯. ভিনেগার বা লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
২০. সরিষার তেল ১ কাপ
যেভাবে তৈরি করবেন-
প্রথমে হাঁস পরিষ্কার করে ধুয়ে টুকরা করে কেটে নিন। ভিনেগার বা লেবুর রস দিয়ে মেখে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর আবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে তেজপাতা এলাচ, দারুচিনি দিয়ে পেঁয়াজ ও আস্ত রসুন দিয়ে ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হলে সব বাটা মসলা ও সব গুঁড়া মসলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। মসলা কষানো হলে মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢেকে নিন। এবার অল্প পানি দিয়ে মধ্যম আঁচে মাংসগুলো ভালোভাবে আবার কষিয়ে নিন। মাংস অর্ধেক হয়ে গেলে এতে নারকেল দুধ ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে দিন। মাংসের ঝোল গাঢ় হয়ে তেল ওপরে উঠে এলে তাতে ভাজা জিরা গুঁড়া ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। বাকি বেরেস্তা ওপরে ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।