
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভিযোগ করেছে, জুলাই সনদের খসড়ায় ‘ইতিহাস বিকৃতি ও পুনর্লিখন’ ঘটানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ধারাবাহিক লড়াই–সংগ্রামের ইতিহাস সনদে অনুপস্থিত, যা শহীদ ছাত্রদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “২০২৪ সালের জুলাই ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থান ছিল আমাদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফসল। সেই ধারাবাহিক সংগ্রাম, ৯ দফা থেকে এক দফায় রূপান্তরিত হওয়া, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি—এসব কিছু জুলাই সনদে বিকৃত হয়েছে।”
ছাত্র আন্দোলন অভিযোগ করেছে, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার, আহত ব্যক্তি ও আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের উপেক্ষা করা হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে বসিয়ে রাষ্ট্রের ইতিহাসকে বিলীন করার প্রক্রিয়া চলেছে।
এছাড়া, বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়েছে, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নোট অব ডিসেন্ট সমাধান না করে দ্রুত স্বাক্ষর সম্পন্ন করার টালবাহানা চলছে। পূর্বেও এমন কার্যক্রম দেখা গেছে, কিন্তু তখনও সনদ আইনি বৈধতা পায়নি। তাই আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, স্বাক্ষরের আগে আইনি ভিত্তি ও নোট অব ডিসেন্টের সমাধান নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল, শহীদ পরিবার ও আন্দোলনের নেতৃত্বসহ ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সনদটি বৈধ ও পূর্ণাঙ্গ করা হোক।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বান একটি সতর্কবার্তা হিসেবে এসেছে, যাতে জুলাই সনদে রাজনৈতিক স্বার্থের ওপর ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।