Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চলেছে ৪৩৮ স্থানে, মারণাস্ত্র ব্যবহার ৫০ জেলায়

জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চলেছে ৪৩৮ স্থানে, মারণাস্ত্র ব্যবহার ৫০ জেলায় জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চলেছে ৪৩৮ স্থানে, মারণাস্ত্র ব্যবহার ৫০ জেলায়
জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চলেছে ৪৩৮ স্থানে, মারণাস্ত্র ব্যবহার ৫০ জেলায়


জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে দেশের ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ৫০-এরও বেশি জেলায় ব্যবহৃত হয়েছে মারণাস্ত্র। জবানবন্দিতে এমনটাই উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনার মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান তিনি। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্য পেশ করেন এই তদন্ত কর্মকর্তা।

Advertisement

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় তৃতীয় দিনের মতো ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। জবানবন্দির একপর্যায়ে তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ড বা নৃশংসতা চলল, এসব বন্ধে আসামিরা কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিনা। আপনি কি তদন্তে পেয়েছেন?

জবাবে সাক্ষী আলমগীর বলেন, না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড-নৃশংসতা বন্ধ করার জন্য আসামিরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। একইসঙ্গে যারা হত্যা-গুম-জখম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মূলত জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৫ বছরে খুন-গুম, নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

ট্রাইব্যুনালে আজ প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

২৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন আলমগীর। জবানবন্দিতে তিনি বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। একইসঙ্গে নিজের জব্দ করা জুলাই আন্দোলনের নৃশংসতা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদন প্রদর্শিত হয় ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়। এমনকি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর তিন লাখ পাঁচ হাজার গুলি ছোড়া হয়েছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, আজও ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। এদিন বিবিসি, আল-জাজিরা ও আমার দেশে প্রচারিত প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয় ট্রাইব্যুনালে।

এর আগে, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দিনের মতো জবানবন্দি দেন এই তদন্ত কর্মকর্তা। ওই দিন তার জব্দকৃত ১৭টি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে দেখানো হয়। এসব ভিডিওতে জুলাই-আগস্টের নির্মমতা ফুটে ওঠে। তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এরপরই শুরু হবে যুক্তিতর্ক।

২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার ২২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১। ওই দিন সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। পরে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

তদন্তকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ ও তিনটি মোবাইল নম্বরের সিডিআর বা কল ডিটেইল রেকর্ড জব্দ করেন তানভীর জোহা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনি পাঁচটি অডিও কথোপকথন সম্বলিত তিনটি সিডি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। পরে সেসব ফোনালাপ শোনানো হয়।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ, বই পড়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে ৬৭ শতাংশ

স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ, বই পড়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে ৬৭ শতাংশ

Next Post
ফিলিস্তিনের জলসীমায় ইসরায়েলের কোনো কর্তৃত্ব নেই: পিএ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ফিলিস্তিনের জলসীমায় ইসরায়েলের কোনো কর্তৃত্ব নেই: পিএ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Advertisement