
জাহানারা আলমের সাক্ষাৎকারের পর একাধিক নারী ক্রিকেটার বোর্ড কর্তাদের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ করছে। যদিও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, এই বিষয়ে জিরো টালারেন্সে থাকবে তার বোর্ড। যদিও ইতিমধ্যে ম্যানেজার এস এম গোলাম ফায়েজ, ফিজিও সুরাইয়া আক্তার, কোচ মাহমুদ ইমন ও কর্মকর্তা সারফরাজ বাবু এই চার কর্মকর্তাকে ওএসডি দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
তবে প্রধান অভিযুক্ত নারী দলের সাবেক নির্বাচক এবং ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু চীনে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকে এমন অভিযোগকে তিনি ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
জাহানারার এমন অভিযোগের ১২ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটির গঠন করা হয়েছে। এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটিতে থাকা বাকি দুই জন হলেন বিসিবি নতুন পরিচালক রুবাবা দৌলা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা।
এবার তদন্ত কমিটিতে আরও দুই জনকে যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বিসিবি এক বিবৃতিতে জানায়, কমিটির সদস্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের আইন কমিশনের বর্তমান সদস্য অধ্যাপক ড. নাইমা হক এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান খানকে মহিলা ক্রিকেটে অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে তিন সদস্যের পরিবর্তে তদন্ত কমিটি এখন পাঁচ সদস্যের।