
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। তার সবচেয়ে বড় অভিযোগ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে। তবে বরাবরই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন মঞ্জু।
জাহানারার পর মঞ্জুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আরেক অভিজ্ঞ নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। তবে সেই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে ১৭ টেস্ট ও ৩৪ ওয়ানডে খেলা সাবেক এই ক্রিকেটার। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঞ্জুরুল বলেন, ‘ধরুন, আপনার সঙ্গে আমি একবার বাজে ব্যবহার করেছি। কিন্তু যদি দ্বিতীয়বারও করি, আপনি কি প্রমাণ রাখবেন না? ওরা এত বড় অভিযোগ করেছে, কিন্তু প্রমাণ বা ডকুমেন্টস দেখাচ্ছে না কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে মেয়েদের পিরিয়ডের প্রসঙ্গটা এসেছে, পুরো বিষয়টা তো সমন্বিত, আমার একার বিষয় নয়। এ প্রসঙ্গে প্রথমে আসবে দলের ফিজিও, ট্রেনার, হেড কোচ; এরপর আমি। প্রতি বিশ্বকাপের আগে নারী ক্রিকেটে এসব বিষয়ে ক্লাস হয়। সেখানে ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়েরা অংশ নেয়। আমি ছিলাম টিম ম্যানেজার। আপনি ম্যাচ খেলছেন না, কী কারণে খেলছেন না—আমাকে তো এটা অবগত করতে সরাসরি হেডকোয়ার্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। আপনি খেলছেন না, কেন খেলছেন না—এটা আমাকে কে জানাবে? কোচ জানাবে।’
মঞ্জুরুল বলেন, ‘কোনো খেলোয়াড় যদি চোটে পড়ে, এটা আমাকে কে জানাবে? ফিজিও জানাবে। কোনো খেলোয়াড় যদি মেয়েলি সমস্যায় ভোগে, কে জানাবে—ফিজিও জানাবে কোচের মাধ্যমে। এখানে আমার কী করার আছে?’
কাউকে যদি মৌখিকভাবে উত্ত্যক্ত বা নিপীড়ন করা হয়, সেটার প্রমাণ রাখার উপায় কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু বলেন, ‘আমার কি স্ত্রী-মেয়ে-বোন নেই? আমাকে এত বছর আপনারা দেখছেন—কখনো কি আমার ব্যাপারে এমন কিছু শুনেছেন? আর তাদের অভিযোগই যখন আছে, তখন কেন প্রকাশ্যে আসেনি?’