
জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তামন্ত্রী সানাই তাকাইচিকে বেছে নিয়েছে। এর ফলে দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছালেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, শনিবার (৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত নেতৃত্ব নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে তাকাইচি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমির পুত্র ও বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমিকে পরাজিত করেন।
প্রথম দফার ভোটাভুটিতে তাকাইচি ১৮৩ ভোট পেয়েছিলেন, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় রানঅফ অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্বে এলডিপির ২৯৫ জন সংসদ সদস্য এবং প্রায় ১০ লাখ দলীয় সদস্য ভোট দেন। রানঅফে তাকাইচি কোইজুমিকে হারিয়ে দলীয় নেতৃত্ব নিশ্চিত করেন।
সানাই তাকাইচি কে?
রয়টার্স জানিয়েছে, সানাই তাকাইচি একজন কট্টর-সংরক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অর্থনৈতিক কর্মসূচি ‘আবেনোমিক্স’ এর ঘনিষ্ঠ সমর্থক এবং একইসঙ্গে বেশ কিছু বিতর্কিত নীতির প্রবক্তা। তার রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে রয়েছে নিয়মিতভাবে বিতর্কিত ইয়াসুকুনি মন্দির পরিদর্শন এবং জাপানের শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধনের সম্ভাবনা।
এছাড়া তিনি তাইওয়ানের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রানঅফের আগে দলীয় সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তাকাইচি বলেন, ‘দেশজুড়ে যে কঠিন প্রশ্ন উঠেছিল এলডিপি আসলে কীসের পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে, সেটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি মানুষের উদ্বেগকে আশায় রূপান্তরিত করতে চাই।’
এপি জানিয়েছে, আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে সংসদীয় ভোট মধ্য-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে। দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।
অক্টোবরের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে তার সম্ভাব্য বৈঠক হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেখানে জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য ট্রাম্প চাপ প্রয়োগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস