
একেই বলে সুযোগের সদ্ব্যবহার! সপ্তাহ খানেক আগেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন শেফালি বর্মা। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ছিলেন না এই ব্যাটার। এমনকি রিজার্ভ তালিকাতেও নাম ছিল না তার। ছন্দে থাকা প্রতিকা রাওয়ালের চোটে হঠাৎ খুলে যায় শেফালির বিশ্বকাপ দরজা। নাটকীয়ভাবে পাওয়া এমন সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি।
রোববার (২ নভেম্বর) নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ওপেনিংয়ে নেমে ৭৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন শেফালি। শুধু তাই নয়, বল হাতেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট শিকার করেন। এতেই উইমেন অব দ্য ফাইনাল তিনি।
শেফালির ওয়ানডে রেকর্ড খুব একটা ভালো না। মূলত টি-টোয়েন্টিতে বেশি বিবেচনা করা হয় তাকে। তবে বল পেটানোর জুড়ি নেই এই ব্যাটারের। তাই হয়তো প্রতিকার চোটে নির্বাচকদের ভাবনার বদল ঘটে। রিজার্ভ তালিকায় না থাকলেও তাকেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যুক্ত করে।
ফাইনাল শেষে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শেফালি বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছিলাম, ঈশ্বর আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন কিছু সুন্দর কাজ করার জন্য, আর আজ সেটাই প্রতিফলিত হলো। আমরা জিতেছি, আমি ভীষণ খুশি, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’
হুট করে দলে এসেই পারফর্ম করা সহজ ছিল না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল, যদি শান্ত থাকতে পারি, তবে সবকিছুই সম্ভব। আমার বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব, ভাই সবাই আমাকে সমর্থন দিয়েছে, শিখিয়েছে কীভাবে খেলতে হয়। এই ম্যাচটা আমার দল আর আমার নিজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার দলকে জেতাতে।’
শেফালি বলেন, ‘আমার মন পরিষ্কার ছিল, আমি আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছি। সবচেয়ে ভালো লাগছে যে আমি সেটি বাস্তবে করতে পেরেছি। স্মৃতি দি, হারমান দি সবাই আমাকে সমর্থন করেছে। সিনিয়ররা শুধু বলেছিল, নিজের খেলা খেলো। যখন এই স্পষ্টতা পাওয়া যায়, তখন সেটাই যথেষ্ট। এটা সত্যিই এক স্মরণীয় মুহূর্ত।’