
নারী ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েছে ভারত। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে। এই জয় কেবল ট্রফি নয়, অর্থের দিক থেকেও নজরকাড়া সাফল্য নিয়ে এসেছে ভারতের জন্য।
আইসিসি এই বিশ্বকাপের আগে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সদ্য সমাপ্ত টুর্নামেন্টে মোট প্রাইজমানি ছিল ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা), যা ২০২২ সালের নারী বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি। বিস্ময়করভাবে, এবারের নারী বিশ্বকাপের পুরস্কার অর্থ পুরুষদের ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি। সেবারের পুরুষদের আসরে মোট পুরস্কার ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।
চ্যাম্পিয়ন ভারত এবার পেয়েছে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। তুলনামূলকভাবে, ২০২২ সালের নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল মাত্র ১.৩২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতের পুরস্কার বেড়েছে প্রায় ২৩৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে পুরুষ বিশ্বকাপ জিতে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ৪ মিলিয়ন ডলার, যা এবার নারী ক্রিকেট পেছনে ফেলে দিয়েছে।
ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার পুরস্কার চ্যাম্পিয়নের অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ কোটি টাকার বেশি)। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার করে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দল পাবে ৭ লাখ ডলার করে, আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আট দলই অংশগ্রহণ ফি হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পাবেন, সঙ্গে প্রতিটি গ্রুপপর্ব জয় বাবদ অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার করে।
বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। টুর্নামেন্টে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার। এছাড়া ৭ ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, যা থেকে অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার প্রাপ্তি হবে। সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।