
টানা ম্যাচ আর অনুশীলনের তীব্র চাপের কারণে আজকাল ফুটবলারদের চোটে পড়ার হার বহুগুণ বেড়ে গেছে। প্রতি মৌসুমেই দলগুলোকে ক্লান্তির ধকল আর চোটের ‘বিষ-তির’ সামলে চলতে হচ্ছে।
ইউরোপের বড় দলগুলোও এবার চোটের কারণে ভীষণভাবে ভুগছে, তবে এবার সবচেয়ে বেশি যে দলগুলো বিপদে পড়েছে, তাদের মধ্যে বার্সেলোনার নাম ওপরের দিকেই রয়েছে। ‘ট্রান্সফারমার্কেট’-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বার্সেলোনা এই তালিকায় ‘পাঁচ নম্বরে’ অবস্থান করছে, যেখানে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ আছে ‘শীর্ষ বিশ দলেরও বাইরে।’ এই দুর্ভাগ্যের পরিসংখ্যানে শীর্ষে থাকা দলটি হলো টটেনহাম।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে এই মৌসুমে ‘লিগ ম্যাচ মিসের সংখ্যার’ ভিত্তিতে তালিকাটি সাজানো হয়েছে। এই মুহূর্তে টটেনহামই সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে থমাস ফ্র্যাঙ্কের দলের ‘১৫ জন খেলোয়াড়’ মোট ‘৯২টি’ লিগ ম্যাচ মিস করেছেন, যার মধ্যে দেয়ান কুলুসেভস্কি, জেমস ম্যাডিসন এবং ডমিনিক সোলাঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়েরাও মাঠের বাইরে ছিলেন।
এরপর তালিকায় থাকা তিনটি ক্লাবই ফ্রান্সের লিগ আঁর-এর, যা চোটের এক ‘মহামারি’তে ভুগছে। ক্লাবগুলো হলো: নিস (‘১১ জন’ খেলোয়াড় ‘৬৫ ম্যাচ’ মিস করেছেন), মোনাকো (‘১২ জন’ খেলোয়াড় ‘৬৩ ম্যাচ’ মিস করেছে) এবং লরিয়াঁ (‘১০ জন’ খেলোয়াড় ‘৬৩ ম্যাচ’ মিস করেছেন)।
এই চার দলের ঠিক পরেই অবস্থান করছে বার্সেলোনা। এই মৌসুমে হ্যান্সি ফ্লিকের দলের ‘১৪ জন’ খেলোয়াড়কে চোটের ধকল সইতে হয়েছে। তাঁরা মোট ‘৬২টি’ ম্যাচ মিস করেছেন। এর ফলে স্প্যানিশ লিগ লা লিগায়ও এই মৌসুমে বার্সাই সবচেয়ে বেশি চোটজর্জর দলে পরিণত হয়েছে। লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের হয়ে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন, গাভি, রাফিনিয়া ও লামিন ইয়ামালের মতো বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় চোটের কারণে ছিটকে গেছেন।
ইউরোপের অন্য শীর্ষ দলগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটি আছে তালিকার ‘১৫ নম্বরে।’ এখন পর্যন্ত তাদের ‘১৪ জন’ খেলোয়াড় ‘৫৫ ম্যাচ’ মিস করেছেন। প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের ‘১১ জন’ খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত ‘৩৯ ম্যাচ’ মিস করেছেন, আর আর্সেনালের ‘১২ জন’ ফুটবলার মিস করেছেন ‘৪৯ ম্যাচ।’