
দেশে বর্তমানে ১৬ লাখ টন চাল এবং এক লাখ টন গম মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারিতে যাওয়ার সময়ে (বিদায় নেওয়ার সময়) চাহিদার থেকে বেশি জোগান রেখে যাব।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে ওএমএস কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন সভায় সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের চট্টগ্রাম জেলা উপজেলার কর্মকর্তারা।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমরা সরকারকে সততা ফাংশনাল রাখতে চাই, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এরপর অন্তর্বর্তী সরকার বিদায় নেবে। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের পাশাপাশি একটি করণীয় আছে, আমরা যতদিন থাকবো দায়িত্বশীলভাবে কাজ করব। আমরা যাওয়ার সময়ে যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ থাকা উচিত, এর চেয়ে বেশি ছাড়া আমরা কম রেখে যাব না।
তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রায় ১৬ লাখ টন চাল মজুদ আছে। গম মজুদ আছে প্রায় এক লাখ টনের মতো। বাকি আরও আসছে, আমেরিকা থেকে একটি জাত আসছে সহসাই, রাশিয়া থেকে একটি জাহাজ এসেছে, আমেরিকা থেকে আরও গম কেনার প্রক্রিয়া চলছে।
চালের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মজুদ থাকার পরও দাম বাড়ছে—এটি নিয়ে আমি দুঃখিত, আপনার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। গত বেশ কিছুদিন ধরে চালের দাম স্থিতিশীল আছে। কিছুদিন আগে বেড়েছিল, আমাদের তরফ থেকে যতটা সমর্থ্য আছে, আমরা চেষ্টা করছি।
অবৈধ মজুদ প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ মজুদদের প্রসঙ্গে যদি কোথাও খবর পান, প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবে সেটা ধরার জন্য। নওগাঁতে কয়েকটি ধরা হয়েছিল, এরপরে কিছুটা কমেছে। এখানে যদি হয় তাহলে এখানেও অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, যদি আল্লাহর রহমত থাকে, বোরোতে যেমন ভালো ফলন হয়েছে, যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটে, ভালো ফলন হবে। আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণে মজুদ রাখার চেষ্টা করব। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের একটি টার্গেট আছে। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে আমরা এমন অবস্থায় থাকতে চাই, যেখানে নির্ধারিত মজুদের চেয়ে বেশি থাকবে, কম থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
চাল কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নীতিমালায় কোনো বিচ্যুতি আছে কি না, তা আমরা পুনর্বিবেচনা করব। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আমরা জানিয়েছি। আমরা ঢাকা ফিরে গিয়ে এটি দেখব এবং আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে মূল্যায়ন করব।
তিনি বলেন, একটি পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে, যা আরও ছয় মাস চলবে। সত্যিকার অর্থে ৫৫ লাখ পরিবার সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের সরকারের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করছি। খুশি হইতাম যদি এক কোটি পরিবারকে ১২ মাস চাল দেওয়া যেত। ভবিষ্যতে যাতে আরও বাড়ানো যায়, সে জন্য আমরা সকলে চেষ্টা করব।