Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি বেড়েছে

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি বেড়েছে
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি বেড়েছে


ভারতের স্থলবন্দরে নিষেধাজ্ঞার পর চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। সমুদ্রপথ এখনও খোলা থাকলেও এটি ধীর এবং খরচ বেশি। এখন চট্টগ্রাম থেকে পণ্যগুলো কলোম্বোর মধ্য দিয়ে কলকাতা বা মুম্বাই বন্দরে পৌঁছায়। তবুও বিকল্প না থাকায় ভারতীয় আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য কেনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত চার মাসে ভারত তিন দফায় তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, সুতা, আসবাবপত্র এবং কাঁচা পাটসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আনে।

Advertisement

বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, ব্যবসায়ীরা সবসময় সময় ও খরচ হিসাব করে। তাই ভারতীয়রা থামেনি। সমুদ্রপথে খরচ বেশি হলেও অন্যান্য দেশ থেকে আনার তুলনায় বাংলাদেশি পণ্য এখনো সস্তা হতে পারে। প্যাসিফিক জিনসের এমডি সৈয়দ তানভীর আহমেদও বলেন, খরচ বেশি হলেও শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে পোশাকের চাহিদা এখনও আছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ বাড়ার কারণে দেশের ১১টি স্থলবন্দর এবং মংলা ও পংগাওনের মাধ্যমে রপ্তানি প্রায় ১৫ শতাংশ মূল্যে এবং ১৯ শতাংশ ভলিউমে কমেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-আগস্টে চট্টগ্রামের মাধ্যমে ভারতের দিকে রপ্তানি ১৩৯ শতাংশ বেড়ে ৩৩৮.২ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। একই সময়ে পণ্যের পরিমাণও ৬০,৫২৫ টন থেকে ১১৬,০০০ টনে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সর্বমোট রপ্তানি চলতি বছরের আট মাসে ৭৬০,০০০ টন পণ্য, যার মূল্য ১ দশমিক ২২৩৬ বিলিয়ন ডলার, ভারতের দিকে গেছে। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি ছিল ৮৫৪,০০০ টন, মূল্য ১ দশমিক ১৮৪৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আয় বেড়েছে, তবে ভলিউম কমেছে।

এক সময় সবচেয়ে ব্যস্ত স্থলবন্দর বেনাপোল এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বেনাপোলে রপ্তানি হয়েছে ২০ লাখ ১ হাজার টন পণ্য, যা আগের বছরের ২৮ লাখ ১ হাজার টনের তুলনায় কম। মংলা বন্দরের রপ্তানি আরও ধসেছে; চলতি বছর জানুয়ারি-আগস্টে মাত্র ৯১ হাজার ডলারের পণ্য গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার ৫৩,৫০০ বিশ ফুট সমমানের ইউনিট (টিইইউ) থাকা সত্ত্বেও মার্চ থেকে কন্টেইনার সংখ্যা প্রায়শই ৪৩,০০০ টিইইউ ছাড়িয়েছে। ১৬ আগস্ট রেকর্ড ৪৯,১৩১ টিইইউ জমা হয়, যা জটিলতার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট খাইরুল আলম সুজন বলেন, একমাত্র চট্টগ্রামের ওপর নির্ভরতা স্বাস্থ্যকর নয়। অন্য বন্দরের আধুনিকায়ন না হলে চট্টগ্রাম অতিভারিত হবে।

ঢাকাস্থ আমদানিকারক ওয়াহিউজ্জাম চৌধুরী বলেন, কামালাপুর আইসিডি ব্যবহার করার আগ্রহ থাকলেও ট্রেনের সময় এখন ২৫–৩০ দিন, যা কার্যকর নয়। প্যাসিফিক জিনসের এমডি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জটিলতা প্রায় স্থায়ী রূপ নিয়েছে।

চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, একমাত্র চট্টগ্রামের ওপর নির্ভরতা বিপজ্জনক। যদি হঠাৎ কোনও সমস্যা হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

শিপিং অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন জানান, পাটেঙ্গার সমুদ্র সৈকতের পাশে নির্মিত বে টার্মিনাল চালু হলে চট্টগ্রামের চাপ কমবে। এছাড়া মংলা, পংগাওন ও পায়রা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

Next Post
সুপার টাইফুন রাগাসার তাণ্ডবে তাইওয়ানে নিহত ১৪, নিখোঁজ ১২৪

সুপার টাইফুন রাগাসার তাণ্ডবে তাইওয়ানে নিহত ১৪, নিখোঁজ ১২৪

Advertisement