
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা ও বসুন্ধরায় কেবি কনভেনশন হল ভাড়া প্রদানকারী মো. বায়েজিদসহ রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), থানা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
শনিবার ও রোববার পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ৯৪ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি নাহিদা নূর সুইটি (৪৮), মতিঝিল থানা শাখার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিরাজ সিকদার (২৮), আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মোঃ বায়েজিদ (৪৫), উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিকলীগ নেতা মহর আলী (৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি শেখ ইবনে সাদিক (৩০), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৫৩), কোতয়ালী থানা ৩৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক নিতাই ঘোষ (৬৫), আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মোঃ শামীম শিকদার (৪০), বংশাল থানা ৩২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দীন সুমিত (২৯), গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা (২৮), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. সাকিব কাজী (২৪), রুপনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. নাদিম শেখ (২২) ও যুবলীগ কর্মী মো. রেজওয়ান হাওলাদার (২৯)।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর উত্তর ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। শফিকুর মোহাম্মদপুর থানার একটি চাঁদাবাজি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জুলাই গনহত্যারও একটি মামলা রয়েছে। পরে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া শনিবার রাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। তারা হলো- ঢাকা জেলার দোহার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আহমেদ (২৯), খিলগাঁও থানা ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ প্রচার সম্পাদক জসিম খান (৩০), খিলগাঁও থানা ৭৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর নন্দীপাড়া রসুলবাগ ইউনিট যুবলীগের সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম হৃদয় (৩০), খিলগাঁও থানা ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান হাবিব (৪২), খিলগাঁও থানা ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম লিটন (৪৭) ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সদস্য মো: আমিনুল ইসলাম রিফাত (২৮)।
এ ব্যাপারে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত সকলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।