
গাজা যুদ্ধবিরতি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ইস্তাম্বুলে তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাসের প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) লাইভ প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানায়, হামাসের জ্যেষ্ঠ আলোচক খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে তাদের প্রতিনিধিদল বুধবার এই আলোচনায় যোগ দেন।
হামাস জানিয়েছে, বৈঠকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির ইসরায়েলি লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, বিশেষ করে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় গোলাবর্ষণ এবং চলমান সাহায্য নিষেধাজ্ঞা।
এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, বিধ্বস্ত অঞ্চলে ‘পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সড়ক নেটওয়ার্ক এবং বিদ্যুতের মতো অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা’ সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তুরস্কের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ। তারা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামে তুর্কি সমর্থনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
গত ৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং হামাস একটি শান্তি পরিকল্পনার চুক্তিতে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যায়ে মধ্যে সমস্ত বন্দিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের একটি রেখার বাইরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়।
প্রসঙ্গত, গাজা অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।