
জাতিসংঘে নিযুক্ত একজন প্রাক্তন জার্মান রাষ্ট্রদূত কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করার কারণে জার্মানি গণহত্যায় জড়িত থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত হতে পারে।
প্রাক্তন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ক্রিস্টোফ হিউসজেন জার্মান সংবাদপত্র ‘বার্লিনার জেইতুং’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক করেন, ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র সরবরাহের ‘গুরুতর আইনি পরিণতি’ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘একটি সত্যিকারের বিপদ রয়েছে যে, জার্মানি যদি গাজায় ব্যবহৃত অস্ত্র ইসরায়েলকে সরবরাহ করে থাকে, তাহলে তারা গণহত্যায় সহায়তা এবং মদদ দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে। এটি হবে বিপর্যয়কর।’
ইরানের মতো দেশগুলোর হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অস্ত্র ব্যবহার এবং গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসনে ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পরেরটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
হিউসজেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গাজায় গণহত্যার ঝুঁকি রয়েছে। ইসরায়েল আইসিজের প্রয়োজনীয়তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে, যেমন মানবিক সাহায্য সরবরাহের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। বিপরীতে, মানুষ অনাহারে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, নিহত এবং আহত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ভয়াবহভাবে অনেক বেশি। এটিকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না।
ক্রমবর্ধমান জনসাধারণের চাপের মধ্যে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের জোট সরকার গত মাসে ঘোষণা করেছিল, জার্মানি আর ইসরায়েলে গাজায় ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দেবে না।
হিউসজেন জোর দিয়ে বলেন, জার্মানির নাৎসি অতীতের কারণে ইসরায়েলের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব থাকলেও ইসরায়েল যখন ভুল নীতি অনুসরণ করে, তখন তার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের প্রতিবেশী ফ্রান্স, যার সাথে আমরা পররাষ্ট্রনীতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই – সেই সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদার গ্রেট ব্রিটেন ও বেলজিয়াম ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা ঘোষণা করে, তাহলে জার্মানিরও এই বিষয়টির সমাধান করা উচিত।’