
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর দুই বছরের গণহত্যা যুদ্ধে মোট ১৯ হাজার ৯৩২ জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ৩০ হাজার ১০২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
একই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ১৪৮ জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ১ হাজার ৪৫ জন আহত হয়। সেই সঙ্গে এই অঞ্চল থেকে ৮৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও গাজা এবং পশ্চিম তীরে ১ হাজার ৩৭ জন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন এবং ৪ হাজার ৭৫৭ জন আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে এই পেশায় থাকা অন্তত ২২৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজায় সরকারি স্কুলের ১৭৯টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। বোমা বা ভাঙচুরের ফলে ১৮টি সরকারি স্কুল এবং ১০০টিরও বেশি জাতিসংঘের স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হেবরনের দক্ষিণে ইয়াত্তা শহরের আমিরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তুবাসের আকাবা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, আটটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ বারবার আগ্রাসন ও ভাঙচুরের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাজা অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।