গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং মানবিক সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম প্রধান একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, এই বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের নেতা বা শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হলো গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং এর শাসনব্যবস্থা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প এই বৈঠকে একটি শান্তি প্রস্তাব এবং যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা শাসন কাঠামোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলোচনায় জিম্মি মুক্তি, যুদ্ধের অবসান, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাস-বহির্ভূত একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
ওয়াশিংটন চাইছে, আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাক, যাতে ইসরায়েল তার সেনা প্রত্যাহার করতে পারে। একই সঙ্গে, গাজা পুনর্গঠন এবং স্থানান্তরকালীন খরচের জন্য এই দেশগুলোর কাছে আর্থিক সহায়তাও চাওয়া হবে।
ট্রাম্পের এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির একমাত্র পথ হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।
তবে ইসরায়েল এই ধরনের স্বীকৃতিকে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও প্রকাশ্যে এই স্বীকৃতির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
