
চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার মধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৪৫ জন শিশুসহ ৪২৫ জন ফিলিস্তিনি ক্ষুধায় মারা গেছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনেই গাজায় অনাহারে ৩ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি গণহত্যা যুদ্ধে মোট মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ১ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা আগে থেকেই দুর্ভিক্ষের কথা বলে আসলেও গত ২২ আগস্ট জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)-এর বিশেষজ্ঞরা প্রথমবারের মতো গাজার পরিস্থিতিকে ‘দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে। একই দিনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় দাবি করে, ইসরায়েল গাজাকে ‘ক্ষুধার্ত’ করছে না, বরং তারা ‘দুর্ভিক্ষ রোধ’ করছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র ওলগা চেরেভকো ২৬ আগস্ট বলেছেন, গাজা উপত্যকার দুর্ভিক্ষ সম্পূর্ণরূপে মানবসৃষ্ট। এটি এড়ানো যেত।
চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।