
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০টি পরিবার ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে। অর্থা এসব পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনে জাতিগত নির্মূলের চলমান পরিস্থিতিতে ‘লজ্জাজনক আন্তর্জাতিক নীরবতার’র নিন্দা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধের ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাথমিক ক্ষতি ৬৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। দখলদাররা সামরিক শক্তি এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে গাজার ৮০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে।’
গাজার মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, যুদ্ধের সময় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে, যার ফলে ৭৩ হাজার ৭৩১ নিহত কিংবা নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি শিশু এবং ১২ হাজার ৫০০ জন নারী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দখলদারিত্বের ফলে ২ হাজার ৭০০ পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ১ হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসাকর্মী, ২৪৮ জন সাংবাদিক, ১৩৯ জন বেসামরিক উদ্ধার কর্মী এবং ১৭৩ জন পৌর কর্মচারী নিহত হয়েছেন।
একই সঙ্গে ১ লাখ ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হাজার হাজার অঙ্গচ্ছেদ, পক্ষাঘাত ও অন্ধত্ব বরণ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।