
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফিরতি ম্যাচ ১৪ অক্টোবর, হংকংয়ের মাটিতে। সেই ম্যাচ দেখার সুযোগ হাতের মুঠোয় থাকার পরও বাড়তি সুযোগ নিতে হংকং থেকে শতাধিক দর্শক ঢাকায় এসেছেন। প্রথম খেলাটা দেখার আনন্দ তাদের কাছে অন্যরকম। সকালে এসেছেন বিকালে চলে যাবেন এমন শিডিউল নিয়েও অনেকে ঢাকায় ম্যাচ দেখতে হাজির।
হংকংয়ের সমর্থকদের জন্য বাফুফে টিকিটের ব্যবস্থা করেছিল। বাফুফের লোকজন গিয়ে প্রেসবক্সের নিচে সবার বসার আয়োজন করে দেয়। আর তাতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন হংকং চায়নার দর্শক। তাদের হাতে ছিল বাংলাদেশ-হংকং লেখা মাফলার। কারো হাতে ব্যানারে লেখা ছিল ওয়ান টিম, ওয়ান হংকং।
শতাধিক সমর্থক হলেও তাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, শিক্ষার্থী, অফিস ম্যানেজার থেকে শুরু করে, কে নেই। কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ দেখার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। হংকংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডেনিস, মহাখুশি। প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশটা দেখা হবে, খেলাটাও দেখা হবে। প্রশ্ন ছিল এত স্বল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশকে দেখা যাবে। ডেনিস বললেন, ‘দেখেছি। যতটুকু দেখা যায়।’
ডেনিসের প্রশ্ন এবার তোমাদের এখানে শিক্ষার্থী আন্দোলন হয়েছিল আমরা টিভির খবরে দেখেছিলাম। এখন তোমরা কেমন আছো।’ ২৬ বছর বয়সী তরুণী কারিনা। তিনি এসেছেন বয়ফ্রেন্ড সঙ্গে নিয়ে। কারিনা বললেন, ‘আমরা বাংলাদেশে প্রথমবার এসেছি। আমার বয়ফ্রেন্ডও এসেছেন। আমরা এখানকার রিকশা ভ্রমণ উপভোগ করেছি। রিকশা দেখতেও সুন্দর-বললেন কারিনার বয়ফ্রেন্ড রিয়ান।
চীনা সুন্দরী কেয়াহ। ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ দেখতে এসেছেন। পেশায় কেয়াহ একজন ব্যাংকার। পরিচয় করিয়ে দিলেন তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে, নাম তার জেরেমি। জানতে চাইলে বললেন হংকং জিতবে ২-১ গোলে।’
গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিংয়ের সঙ্গে জড়িত তান। ৩২ বছর বয়সী এই তরুণ প্রথমেই বললেন আমরা জানি হংকংয়ে গেলে বাংলাদেশ ম্যাচটা আবার দেখার সুযোগ হবে। তবুও এখানে এসেছি। আমার কাছে মনে হয় হংকং ২-১ গোলে জিতবে। কিছু মনে করবেন না। আপনার দেশে এসে আপনাদেরকে হারিয়ে দেওয়ার কথাটা বললাম।’