Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রথম বিবৃতিতে তীব্র ভাষায় ভারতের সমালোচনা করলেন অলি

ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রথম বিবৃতিতে তীব্র ভাষায় ভারতের সমালোচনা করলেন অলি ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রথম বিবৃতিতে তীব্র ভাষায় ভারতের সমালোচনা করলেন অলি
ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রথম বিবৃতিতে তীব্র ভাষায় ভারতের সমালোচনা করলেন অলি


জেন-জি বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথম বিবৃতিতে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি তীব্র ভাষায় ভারতের সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি নেপালের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের সংবিধান দিবসে ফেসবুকে প্রকাশ করা বিবৃতিতে অলি দেশটির সংবিধান প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি সংবিধানকে ‘নেপালি জনগণের নিজেদের জন্য লেখা একটি ভবিষ্যতের রেখা’ বলে অভিহিত করেন।

Advertisement

বিবৃতিতে নেপালি ভাষায় অলি লিখেছেন, ‘অবরোধ এবং দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে সংবিধান জারি করা হয়েছিল।’ তিনি ২০১৫ সালের অবরোধের কথা উল্লেখ করেন, যে অবরোধে ভারতের হাত ছিল বলে দোষারোপ করা হয়।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নেপাল দক্ষিণ সীমান্তে তীব্র অবরোধের সম্মুখীন হয়। সেখানে জ্বালানি, ওষুধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ বহনকারী ট্রাকগুলোকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এই অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়া হয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের দিয়ে। তারা দাবি করেছিল, নতুন সংবিধানে তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। এর ফলে নেপালে প্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিকভাবে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

ভারত সেই সময় নেপালে সরবরাহ বন্ধ করার কথা অস্বীকার করে বলেছিল, নেপালের দিকের নেপালি জনগোষ্ঠীই এই বাধা সৃষ্টি করছে।

যদিও অলি তার পোস্টে স্পষ্টভাবে ভারতের নাম উল্লেখ করেননি, তবে তার মন্তব্য দেশটির দিকেই ইঙ্গিত করে। তিনি বলেন, অবরোধ নেপালের পররাষ্ট্রনীতি এবং অবকাঠামোগত কৌশলের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে কাজ করেছে।

তিনি লিখেছেন, ‘সংবিধান জারি হওয়ার পর, উত্তর ও দক্ষিণের সঙ্গে সংযোগকারী পরিবহন কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল ভূদৃশ্যপূর্ণ দেশে স্থলভাগে স্থাপন করার জন্য, যাতে কেউ নেপালকে আটকাতে না পারে।’

বিবৃতিতে অলি তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি চীনের সঙ্গে ২০১৬ সালের ট্রানজিট এবং পরিবহন চুক্তির কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমরা উত্তরের প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে একটি পরিবহন চুক্তিও করেছি। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের ক্ষমতা প্রসারিত করেছি। আমরা আমাদের উন্নয়ন কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছি। অর্থনীতি ত্বরান্বিত হচ্ছিল।’

অলি এই পদক্ষেপগুলোকে ‘একক প্রতিবেশীর ওপর নির্ভরতা কমাতে’ এবং ‘বাইরের চাপে নেপালের স্বাধীনতা যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়’ তা নিশ্চিত করার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

গত সপ্তাহে জেন-জিদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয় এবং অলি পদত্যাগ করেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে তার এই বক্তব্যগুলো এসেছে। বিক্ষোভ চলাকালীন অলি সেনা ব্যারাকে ছিলেন। নয় দিন সামরিক সুরক্ষায় থাকার পর বৃহস্পতিবার তিনি একটি ব্যক্তিগত স্থানে চলে যান।

বিবৃতিতে তিনি জনসাধারণের প্রতিবাদ করার অধিকার স্বীকার করেছেন, কিন্তু ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ ইচ্ছাকৃত অনুপ্রবেশ ছিল বলে দাবি করেছেন।

তিনি বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জেন-জিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলাকালীন অনুপ্রবেশ ঘটেছিল…। যেসব ষড়যন্ত্রকারীরা এতে অনুপ্রবেশ করেছিল, তারা সহিংসতা উস্কে দেয় এবং আমাদের যুবকদের হত্যা করে। সরকার বিক্ষোভকারীদের গুলি করার নির্দেশ দেয়নি। পুলিশের কাছে নেই – এমন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানোর ঘটনা তদন্ত করা উচিত।’

অলি আরও অভিযোগ করেন, অজ্ঞাত শক্তিগুলো দেশটির মূল প্রতীক এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে আক্রমণ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর জাতীয় স্থাপত্য ও প্রতীকগুলোতে আগুন লাগানোর ঘটনাকে ‘আরও গভীর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অলি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (পদ) থেকে আমার পদত্যাগের পর সিংহ দরবার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নেপালের মানচিত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশের প্রতীক মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন, আদালত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলের অফিস, তাদের নেতা ও কর্মীদের বাড়িঘর, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছাই করে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পেছনের ষড়যন্ত্র নিয়ে আমি আজ বেশি কিছু বলব না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই নিজে নিজেই প্রকাশ পাবে। কিন্তু আমাদের অবশ্যই জিজ্ঞাসা করতে হবে, আমাদের জাতি কি গড়ে উঠছিল, নাকি ভেঙে ফেলা হচ্ছিল? এই ক্ষোভ কি কেবল একটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বর্ণনা দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল?’

অলি আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম নিজেরাই সত্য বুঝতে পারবে। আর যারা দেশ ছেড়ে যাওয়া তরুণদের অবজ্ঞা করে, সময় তাদের মনে করিয়ে দেবে যে, তাদের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। অবশেষে নতুন প্রজন্ম সবকিছুই বাস্তবে দেখতে পাবে।’

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে অলি জনসাধারণকে রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে সংবিধান রক্ষার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের, নেপালিদের সকল প্রজন্মকে, সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ মোকাবেলা করতে এবং সংবিধান রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যদি সার্বভৌমত্ব আমাদের অস্তিত্ব হয়, তাহলে সংবিধান আমাদের স্বাধীনতার ঢাল।’

বিবৃতির সমাপ্তি টেনে অলি সতর্ক করে বলেন, যদি নেপালিরা বর্তমান মুহূর্তের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশটি একটি ‘সতর্কতামূলক গল্পে’ পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। তিনি বলেন, ‘সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এটি বুঝতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব কেবল ইতিহাসেই থেকে যাবে।’





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

Next Post
ঐকমত্যের মাধ্যমেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে: বদিউল আলম মজুমদার

ঐকমত্যের মাধ্যমেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে: বদিউল আলম মজুমদার

Advertisement