
কোক স্টুডিও বাংলা তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান ‘ক্যাফে’ প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে আলোচনায় এসেছে গানটি। ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’। আর গানটি যেন অনন্যধারায় আবারও প্রাণ পেয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তানজির চৌধুরী তুহিনের কণ্ঠে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘ক্যাফে’ গানটি। প্রকাশের পর মুহূর্তেই দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস। গানের শুরুতেই তুহিনের কণ্ঠে সুর ও ছন্দের দোলা দেখে শ্রোতারা রীতিমতো চমকে যান।
১৯৯৬ সালে প্রকাশিত ব্যান্ডটির ‘ঝরা সময়ের গান’ অ্যালবামে ছিল এই গান। পরবর্তী সময়ে ‘কিছু সংলাপ কিছু প্রলাপ’ সিনেমাতেও ব্যবহৃত হয়েছিল গানটি। এবার কোক স্টুডিও বাংলায় এই গান গেয়ে দর্শক মাতালেন তুহীন।
একটি সাধারণ ক্যাফে নিয়েই এই গান। ক্যাফে এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষের অতি সাধারণ দিনটিও গল্পে পরিণত হয়। সময় যেন থমকে যায়, কণ্ঠস্বর নিচু হয়ে আসে আর প্রতিটি টেবিল বলতে থাকে নিজেদের গল্প। কারও প্রথম দেখা, কারও শেষ বিদায়। মানুষ আসে, আবার চলেও যায়, তবু কী যেন সব সময় থেকে যায়। এই অনন্ত নীরবতার মাঝেই জন্ম নিয়েছিল আমার প্রিয়া ক্যাফে। কথা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম চট্টোপাধ্যায়। আমেরিকান লাতিন জাজ মিউজিক কম্পোজার এডি পামিয়েরির ‘ক্যাফে’ গানটি অবলম্বনে এই গান লিখেছিলেন তিনি।
নতুন করে গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন শুভেন্দু দাস। নতুন সংগীতায়োজনে স্থান পেয়েছে আফ্রো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা ও বাংলা পঙক্তি।
গানটিতে তানযীর তুহীনের সঙ্গী হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান শিল্পী লিভিয়া মাতোস এবং পশ্চিমবঙ্গের গৌরব চ্যাটার্জি। একাধিক সংস্কৃতির মিশ্রণে তারা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন প্রাণবন্ত এক সংগীত, যেখানে উদ্যাপিত হয়েছে ঐতিহ্য, আবেগ ও বৈশ্বিক সুরের মেলবন্ধন।