
আরিফুল ইসলাম রিগান নামে এক সাংবাদিককে নির্যাতনের অভিযোগের মামলায় কারাগারে যাওয়া কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি একই দিনে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ থেকে সুলতানা পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারি এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
একইদিন (মঙ্গলবার) সাংবাদিক নির্যাতনের এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সুলতানা পারভীন। যদিও তার জামিনের কাগজপত্র এখনো হাজতে পৌঁছায়নি। ফলে তিনি এখনো কারাগারেই আছেন।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে সাবেক ডিসি সুলতানাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে মার্চে প্রশাসনের একটি পুকুর নিজের নামে নামকরণ করেন ডিসি সুলতানা। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও নানা অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধান করায় ওই বছরের ১৩ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। ডিসি অফিসে এনে নির্মম নির্যাতন করেন জেলা প্রশাসনের তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এনডিসি রাহাতুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।
এরপর আরিফের বিরুদ্ধে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে ওই রাতেই তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়।
কারামুক্ত হয়ে এ ঘটনায় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। পাঁচ বছর ধরে চলছে সেই মামলা। এবার সেই মামলা ঘাড়ে নিয়েই চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হলেন তিনি।