
ফিফার নিষেধাজ্ঞা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। এরই মধ্যে ফুটবলে আরেকটি নিষেধাজ্ঞা যোগ হয়েছে ফুটবলের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানের নামে। ফিফার অফিশিয়াল রেজিস্ট্রেশন ব্যান লিস্টে গেল ১০ দিনে ৪ বার নাম উঠেছে বসুন্ধরা কিংসের এবং মোহামেডানকে ১ বার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বসুন্ধরা এবং মোহামেডান বিদেশি ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।
গেল ২৩ অক্টোবর প্রথমবারের মতো কিংসকে ব্যান করেছিল ফিফা। যদিও সেবার নির্দিষ্ট করে কোনো সংখ্যা উল্লেখ না করলেও এরপর গত ২৪, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর তিন দফায় নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শীতকালীন উইন্ডোতে তিন জন করে খেলোয়াড়ের ওপর ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। গত ২৯ অক্টোবর মোহামেডানকে রেজিস্ট্রেশনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে, মোহামেডান কর্তাদের ফোন করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ফুটবল ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিবকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একই সঙ্গে মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদকে কয়েকবার ফোন দেওয়ার পরে তিনি ফোন রিসিভ করে প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে আলফাজ বলেন, ২০২৩ সালে মানিক ভাইয়ের সময় (কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক) ইরানি ফুটবলার মায়সাম খেলে গিয়েছিলেন, তিনি বকেয়া টাকার জন্য ফিফার কাছে অভিযোগ করেছেন। এটি ফলস্ কেইস-এই কথা বলে ফোন রেখে দেন আলফাজ।
দেশের ফুটবলে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। নানান সময় একাধিক ক্লাবের নাম উঠেছে এই তালিকায়। কয়েক মাস আগে বসুন্ধরা কিংসের সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবসন ও রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরিও তিতে বকেয়া টাকা না পাওয়ায় ফিফার কাছে নালিশ করেছিলেন। যার কারণে কিংসের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফিফা। ফলে কিংস নতুন বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারছে না। সবশেষ জাতীয় দলের ফুটবলার তারেক কাজীও কিংস থেকে বকেয়া অর্থ না পাওয়ায় ক্ষোভ নিয়ে ক্লাব ছেড়েছেন।
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	