
শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘শাপলা’ এবং ‘শাপলা কলি’ প্রতীক এক নয়। কারো চাপে নয়, নির্বাচন কমিশন নিজস্ব সিদ্ধান্তে বিধিমালায় ‘শাপলা কলি’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘শাপলা’ আর ‘শাপলা কলি’ প্রতীকের মধ্যে পার্থক্য আছে। নানা সমালোচনার মুখে প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে ‘শাপলা কলি’ প্রতীকটি বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজন মনে করলে আবারও সংশোধন করা হবে।
নির্বাচন কমিশন থেকে আগে বলা হয়েছিল, শাপলা প্রতীকটি বিধিমালায় না থাকায় কোনো দলকে দেওয়া যাবে না। তাহলে কোন বিবেচনায় ‘শাপলা কলি’ প্রতীকটি বিধিমালায় যোগ করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতীকের তালিকা নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল। তাই আগের তালিকা থেকে ১৬টি প্রতীক বাদ দিয়ে ১১৯টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘ইসি মনে করেছে ‘শাপলা কলি’ রাখা যেতে পারে। এটা কারও দাবির প্রেক্ষিতে করার বিষয় নয়। কারও দাবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিকও নয়।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, একটি দল ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছে। এখন ‘শাপলা’ প্রতীক আর ‘শাপলা কলি’র মধ্যে পার্থক্য আছে। কমিশন মনে করেছে এটা করা যায়, তাই করা হয়েছে। যেহেতু কিছু বিরূপ মন্তব্য এসেছে, তাই কিছু বাদ দিয়ে কিছু যোগ করা হয়েছে।’
ইসি বলেন, ‘কে চেয়েছে বা কে চায়নি সেটা বিষয় নয়, ‘শাপলা কলি’ প্রতীকটি যোগ করার সিদ্ধান্ত কমিশনের। ভবিষ্যতে যদি কমিশন প্রয়োজন মনে করে, তাহলে আবারও পরিবর্তন করতে পারবে।